খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

‘আর বিতর্কের সুযোগ নেই, শেখ হাসিনা চলে গেছেন এটাই সত্য’

শেখ হাসিনার পদত্যাগ, রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিমুখী বক্তব্যে ধুম্রজালের সৃষ্টি

খবর ডেস্ক |
০১:১৬ এ.এম | ২২ অক্টোবর ২০২৪


সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আ’লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে যাওয়ার প্রায় তিন মাস হতে চললো। তাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলমান। তার পদত্যাগ নিয়ে এখন ধোঁয়াশা কাজ করছে। এর কারণ শেখ হাসিনা নিজেই। তিনি কিছুদিন আগে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের জানিয়েছেন যে, তিনি পদত্যাগ করেননি। যে কোনো সময় চট করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়বেন। এরপর মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে সাবেক একনায়ক হাসিনা সত্যিই কি পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করে থাকলে তার পদত্যাগপত্রই বা কার কাছে?
তবে শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানদের সামনে রেখে বলেছিলেন-‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি’। 
রাষ্ট্রপ্রধানের এই দ্বিমুখী বক্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজালের। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। 
যদিও ৫ আগস্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন বলে জানান।
এরপর রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনও জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি। ’
কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে দাবি করেন, তার মা পদত্যাগ করেননি। তাছাড়া সরকারি বা দালিলিক প্রমাণ সামনে না আসায় বিষয়টি এখনো স্পষ্ট হচ্ছে না।  
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর ‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না...’ শিরোনামে প্রকাশিত লেখায় মতিউর রহমান উলে­¬খ করেন, তিন সপ্তাহ ধরে তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র থাকার কথা যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সেখানেও তিনি খোঁজ নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের মুখোমুখি হন।
গত ১৯ অক্টোবর সাপ্তাহিক রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’ ও দৈনিক মানব জমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী তার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে লেখেন, রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে হাসিনার পদত্যাগপত্র নেই বলে তিনি অস্বীকার করেছেন। তবে শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানদের সামনে রেখে বলেছিলেন- ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি’। রাষ্ট্রপ্রধানের এই দ্বিমুখী বক্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজালের। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।  
রাষ্ট্রপতি যা বলেছেন মতিউর রহমান চৌধুরীকে : শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রশ্ন-প্রধানমন্ত্রী যদি পদত্যাগ করে থাকেন তাহলে সেটা গেল কোথায়? কারও কাছে এই প্রশ্নের জবাব নেই। তিন সপ্তাহ ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছি। খোঁজ নিয়েছি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেও। যেখানটায় প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র থাকার কথা। কোথাও নেই। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের মুখোমুখি হলাম। 
মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার জমানায় বঙ্গভবন ছিল আমার জন্য নিষিদ্ধ। রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ পেয়ে উনাকে জিজ্ঞেস করি স্যার, আপনি কেমন আছেন? ভাই, আপনি আমাকে স্যার বলবেন না। আমরা তো দু’জনই একসঙ্গে সাংবাদিকতায় এসেছিলাম। আমি পাবনায় আর আপনি ঢাকায়। বাংলার বাণীতে দু’জনই কাজ করেছি। পুরোনো স্মৃতি স্মরণ করে আবেগ জায়গা করে নিলো অনেকক্ষণ। স্বাভাবিক হতেই প্রশ্ন করলাম আপনার কাছে কি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রটা আছে? আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়ত সময় পাননি। ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে দশটায় বঙ্গভবনে ফোন এলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে। বলা হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে আসবেন মহামান্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। এটা শুনেই প্রস্তুতি শুরু হলো বঙ্গভবনে। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ফোন এলো তিনি আসছেন না। 
প্রেসিডেন্ট বললেন, চারদিকে অস্থিরতার খবর। কী হতে যাচ্ছে জানি না। আমি তো গুজবের ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে পারি না। তাই সামরিক সচিব জেনারেল আদিলকে বললাম খোঁজ নিতে। তার কাছেও কোনো খবর নেই। আমরা অপেক্ষা করছি। টেলিভিশনের স্ক্রলও দেখছি। কোথাও কোনো খবর নেই। এক পর্যায়ে শুনলাম, তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। আমাকে কিছুই বলে গেলেন না। যা সত্য তাই আপনাকে বললাম। যাই হোক, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার যখন বঙ্গভবনে এলেন তখন জানার চেষ্টা করেছি প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কি না? একই জবাব। শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। মনে হয় সে সময় পাননি জানানোর। সব কিছু যখন নিয়ন্ত্রণে এলো তখন একদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এলেন পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে। তাকে বললাম, আমিও খুঁজছি। এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট বললেন, এ নিয়ে আর বিতর্কের কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন এটাই সত্য। তারপরও কখনো যাতে এ প্রশ্ন না উঠে সে জন্য সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়েছি। 
প্রেসিডেন্ট বলেন, সব কিছু যখন নিয়ন্ত্রণে এলো তখন একদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এলেন পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে। তাকে বললাম, আমিও খুঁজছি উলে­খ করে মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে আর বিতর্কের সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা চলে গেছেন এবং এটাই সত্য। তবু এই প্রশ্নটি যাতে আর কখনো না ওঠে তা নিশ্চিত করতে আমি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছি। ’
মতিউর রহমানের প্রতিবেদনে জানা যায়, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে রেডিও-টেলিভিশনে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় পরিস্থিতি অস্থির থাকায় এবং সেনাপ্রধানের অনাগ্রহের কারণে তাকে ভাষণ দিতে দেওয়া হয়নি। শেখ হাসিনা তখন বলতে চেয়েছিলেন, তাকে বলপূর্বক দেশত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে এবং কোন বিদেশি শক্তি তার সরকারকে উৎখাত করতে চাইছে সেটিও তিনি দেশের জনগণকে জানাতে চেয়েছিলেন।
৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে যা বলেছিলেন রাষ্ট্রপতি :  সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। একই সঙ্গে জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। ৫ আগস্ট সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহŸান জানান।
রাষ্ট্রপতি দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং লুটতরাজ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহŸান জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (৫ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আজ বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনা হয়। শুরুতেই সেনাপ্রধান বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তার আলোচনা সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও এসময় তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সব দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব সাধারণ নির্বাচন করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটকসহ সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দেওয়া হবে বলেও উলে­খ করেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি জানান, সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সময় রাষ্ট্রপতি দেশের অর্থনীতি, প্রশাসন ও শিল্প কল-কারখানা চালু রাখার লক্ষ্যে সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহŸান জানান। তিনি বলেন, ‘ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অতি শিগগির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া যারা হত্যা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
মোঃ সাহাবুদ্দিন আরও বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী অনতিবিলম্বে বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করা হবে। দেশের সব অফিস আদালত আগামীকাল থেকেই স্বাভাবিক ভাবে চলবে।’
দেশকে বাঁচাতে একযোগে কাজ করার আহŸান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে ও প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে উঠে দেশকে এগিয়ে নিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য আমি সবাইকে বিনয়ের সঙ্গে আহŸান জানাচ্ছি।’ এ সময় তিনি একটি সুন্দর ও সোনালী ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির অবস্থান পরিবর্তন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতার। তার দুই ধরনের বক্তব্য নিয়ে সঠিক কোনো ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত সরকার বা বঙ্গভবন থেকে দেওয়া হয়নি। 
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশে থেকে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে, দেশ শাসনের সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্ট থেকে আসে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন বলে আদালত জানায়। পরে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।
দেশ ছাড়ার পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভারত সরকার তাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে। তবে তার রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার এবং বেলারুশের মতো দেশগুলো নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
যা বলছেন ছাত্র নেতারা : গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং রাষ্ট্রপতি নিজে গ্রহণ করেছেন এটা নিজেই বলেছেন। 
তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট রাষ্ট্রপতি আবারও একটি ‘কু’ করার চক্রান্ত করছে। জনগণ এখনও সচেতন এবং রাস্তায় আছে। কোনো অবৈধ চেষ্টা করলে জনগণ তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে। 
রাশেদ আরও বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত। এবং এখনও তার হয়েই কাজ করছে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব তাকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য। কোনো আইন মেনে বিপ্ল¬ব হয়নি। তাই কোনো আইনের দোহাই না দিয়ে ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়া দরকার। বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে না সরালে তিনি শেখ হাসিনার হয়ে কাজ করবে। 

্রিন্ট

আরও সংবদ