খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

অদক্ষ চালকের কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা

নগরীতে ইজিবাইকের ভুয়া লাইসেন্স নিয়ন্ত্রণে কেসিসি’র ডিজিটাল ব্যবস্থা

এন আই রকি |
০১:৪৫ এ.এম | ২৩ অক্টোবর ২০২৪


খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এলাকায় প্রায় ৩০ হাজারের বেশি ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক চলাচল করছে। অথচ কেসিসি’র অনুমোদিত ইজিবাইক লাইসেন্সের সংখ্যা ১০ হাজারের ঘরে। কেসিসি’র লাইসেন্স জাল করে, বিভিন্ন বেনামী সংগঠনের ভাঙিয়ে এবং নগরীর পাশর্^বর্তী উপজেলাগুলোতে থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধ ভাবে ইজিবাইক চলাচল করছে নগরীতে। যার ফলে অদক্ষ চালকের কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা। পাশাপাশি চালকদের কোন পরিচয়পত্র না থাকায় অপরাধও বাড়ছে। এমন সংকট মুহূর্তে ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণে ডিজিটাল উদ্যোগ নিয়েছে কেসিসি।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে কেসিসির প্রত্যেক অনুমোদিত ইজিবাইকের জন্য কিইউআর কোড বিশিষ্ট ডিজিটাল নম্বর প্লেট এবং লাইসেন্স সঠিক কি না তার জন্য আরএফআইডি (রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন) কার্ড প্রদান করা হবে। কেসিসি ইজিবাইক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অ্যাপের মাধ্যমে ইজিবাইকের তথ্য যাচাই করা যাবে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নগরীর সকল ইজিবাইকে ডিজিটাল নম্বরসহ আরএফআইডি কার্ড প্রদান করা হবে। নগরীর চারটি পয়েন্টে কেসিসি’র কর্মকর্তারা আরএফআইডির মাধ্যমে এবং ট্রাফিক পুলিশ অ্যাপসের মাধ্যমে ভূয়া লাইসেন্স সনাক্ত করতে পারবে।  পাশাপাশি ইজিবাইক চালকদের পরিচয়পত্র প্রদান এবং ট্রেনিংয়ের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। 
জানা যায়, ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি কেসিসিতে নগরবাসীর সুবিধার জন্য ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের লাইসেন্সের অনুমোদন দেওয়া হয়। লাইসেন্সের আবেদন ফরমের জন্য ৫শ’ টাকাসহ ১০ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ৮ হাজার এবং পণ্যবাহী ২ হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া হয়। প্রত্যেক ইজিবাইকের অনুমোদনের জন্য স্টিকার দেওয়া হলেও পরবর্তীতে সেগুলো জাল করে নগরীতে ইজিবাইক চলাচল শুরু করে। কেসিসি এবং ট্রাফিক পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়েও ভুয়া লাইসেন্স নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে নগরীতে অনুমোদনের তুলনায় তিনগুণ ইজিবাইক চলাচল করছে। ফলে দুর্ঘটনার পাশাপাশি বেড়েছে যানজট। যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এদিকে ইজিবাইক চালকদের নির্দিষ্ট কোন পরিচয়পত্র না থাকায় বাড়ছে অপরাধ কার্যক্রম। ইজিবাইক ছিনতাইসহ মার্ডারের ঘটনাও ঘটেছে খুলনাতে। এমন অবস্থায় দক্ষ এবং ইজিবাইক চালকদের পরিচয়পত্র প্রদান করা নগরবাসীর দাবি।  
কেসিসি’র সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান রহিম জানান, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিসেম্বরের মধ্যেই ডিজিটাল ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিইউআর কোড এবং আরএফআইডি বাস্তবায়ন করতে পারলে ভূয়া লাইসেন্সে ইজিবাইক চালানো বন্ধ হবে। এছাড়া চালকদের পরিচয়পত্র প্রদান এবং প্রশিক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) সহকারী কমিশনার খন্দকার হোসেন আহমেদ বলেন, ভুয়া লাইসেন্সের পরিমাণ বেড়েছে। আমরা সেগুলো আটক করছি। কেসিসির কিইউ আর কোড সিস্টেম চালু হলে ভুয়া লাইসেন্স নিয়ে কেউ ইজিবাইক চালাতে পারবে না। যানজটও নিয়ন্ত্রণ হবে। 

্রিন্ট

আরও সংবদ