খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলন

বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সাথে অসম প্রতিযোগিতায় ধরাশায়ী খামারীরা

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৫৫ এ.এম | ২৩ অক্টোবর ২০২৪


মুরগীর ডিম-মাংস উৎপাদক-ভোক্তার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকল্পে ও অযৌক্তিক মূল্য তালিকা পুনঃনির্ধারণ, উৎপাদন বৃদ্ধি, খামারীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে বিপিআইএফ-এর খুলনা বিভাগীয় কমিটি ও খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির উদ্যোগে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন। 
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কৃষি প্রধান বাংলাদেশের বিকশিত-উদীয়মান পোল্ট্রি শিল্প ক্ষুধা-দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসংস্থান ও স্বল্পমূল্যে আমিষের যোগানদাতা হিসেবে প্রত্যক্ষ ৭০ লক্ষ ও পরোক্ষভাবে ০১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষের জীবিকা নির্বাহ ও তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা ও বিনিয়োগে সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগের ফসল পুষ্টিকর-নিরাপদ মুরগীর ডিম ও মাংস। খুলনা বিভাগ পূর্বে ডিম-মুরগী উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও বর্তমানে অন্যান্য এলাকা থেকে চাহিদা পূরণ করতে হয়। খুলনা জেলায় ৪৯৫২টি ছোট-বড় খামার হতে প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ ৯০ হাজার ডিমের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৫০ পিস। অপর দিকে ব্রয়লার, ফকরেল, সোনালী মুরগীর মাংস চাহিদা ১০০ মেট্রিক টনের বিপরীতে উৎপাদন হয় ৭০ মেট্রিক টন। অন্যদিকে দেশী-বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সাথে অসম প্রতিযোগিতা ও তাদের ডিম-মুরগীর বাজার সিন্ডিকেটে ধরাশায়ী খামারীরা। এতে অনেক ক্ষুদ্র-মাঝারী খামারীরা অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছে। আবার সরকারও তাদের সাথে মিলে ডিম আমদানির অনুমতি ও মূল্য নির্ধারণ করছে যা এ শিল্পের জন্য অশনি সংকেত।
দেশে ডিম, মুরগী, খাদ্য-বাচ্চাসহ সকল পর্যয়ে দেশি-বিদেশী কর্পোরেট কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণ করে দাম বাড়ায়-কমায়। এদের মধ্যে কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি, সি পি বাংলাদেশ, আফতাব বহুমুখী ফার্ম লিঃ, ডায়মন্ড এগ, সাগুনা, এসিআই, নীরিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী, নাহার এগ্রো অন্যতম। ডিমপাড়া লেয়ার মুরগীর বাচ্চা পাওয়া যায় না। যদিও বা পাওয়া যায় তা ৩-৪ মাস পরে ৯০-১০০ টাকা মূল্যে পাওয়া দুষ্কর। এছাড়া পশুখাদ্য-ওষুধের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষুদ্র-মাঝারী খামারীরা সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক বেধে দেওয়া মূল্যে তাদের উৎপাদিত ডিম-মুরগী দিতে পারছে না। 
বক্তব্যে আর বলা হয় খাদ্য-বাচ্চা-ওষুধের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ না করলে কোনো অবস্থায় ডিম-মুরগীর দাম কমার সম্ভাবনা নেই। সরকার ঘোষিত ডিম-মুরগীর মূল্য প্রান্তিক ক্ষুদ্র-মাঝারীদের জন্য পুনর্বিবেচনা করা আবশ্যক। সরকারি মূল্যে ডিম-মুরগীর ব্যবস্থা করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় ভবিষ্যতে আরও কঠিন কর্মসূচি গ্রহণ করা ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না।
এ সকল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মাওঃ ইব্রাহিম ফয়জুল­াহ, সহ-সভাপতি শেখ রেজানুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মামুনুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তালুকদার মোঃ হেলালুজ্জামান, শেখ আব্দুল হালিম, শাহ জাফর মাহমুদ মেহেতা, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খোকন, শাকিল আহমেদ রাজা, মোটর সাইকেল মেকানিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ আইনুল হক, খুলনা ট্রেনিং রিহাইব্লিটেশন সেন্টার অব দি ব্লাইন্ড-এর সভাপতি মোঃ মোতালেব শেখ, আছিয়া-সাত্তার ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের পরিচালক এস এম তামজিদ হোসেন সৌরভ, খামারী মোঃ শাহজাহান, রবিউল ইসলাম নাদিম, তৌহিদুজ্জামান তৈহিদ, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ রানা, মোঃ মঞ্জু, মনোয়ার হোসেন, সাকিল আহমেদ, মোঃ রাসেল, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোঃ নূর হোসেন, মোঃ রাজিব হাওলাদার, মোঃ মোফাজ্জেল, মোঃ জামিল হোসেন রনি, আব্দুল মালেক, মোঃ ইয়াহিয়া মিণ্টু, মোঃ আসিফ খান, মোঃ সাগর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।  

্রিন্ট

আরও সংবদ