খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে খুলনায় গণজমায়েত

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:০৭ এ.এম | ২৩ অক্টোবর ২০২৪


রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে খুলনার গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে শিববাড়ির মোড়ে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে মহানগরীর শহিদ হাদিস পার্কের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে গণজমায়েত করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীর।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতিকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগ দাবি করেন। একই সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিও তোলেন তারা।
জমায়েতে অংশ নেওয়া বক্তারা দাবি করেন, রাষ্ট্রপতি স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি যে দ্বিমুখী বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট যে তিনি শেখ হাসিনাকে বৈধতা দিতে চান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রপতির এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও উলে­¬খ করেন তারা।
গণজমায়েতের বক্তৃতা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি জহুরুল তানভীর, আল শাহারিয়ার, হেলাল উদ্দীন, সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ, মুহিবুল­াহ মুহিব, নাইম মলি¬ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটির সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি, সেন্ট্রাল ল’ কলেজের প্রতিনিধি আহাম্মদ আমীন রাহাত, আযম খান কমার্স কলেজের প্রতিনিধি রাফসান জানি, সরকারি সুন্দরবন কলেজের প্রতিনিধি শেখ জিহাদুল উসলাম, বিএল কলেজের প্রতিনিধি সোয়াদ, তোহা, খালিদ, রুমি, তারিন প্রমুখ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মুহিবুল­¬াহ মুহিব বলেন, বিপ্লবের বজ্রাঘাতে পতন হয়, পদত্যাগ নয়। কিন্তু বিনা ভোটের সরকারের তৈরি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু আজকে পলাতক হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজতে উদগ্রীব। যে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে গেছে তার আবার কিসের পদত্যাগপত্র। তবে চুপ্পু সাহেব হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে জাতির সাথে চরম মিথ্যাচার করেছে। এই মিথ্যাচারের কোনো ক্ষমা হয় না। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা মণ্ডলীদের কাছে আহŸান করবো স্বৈরাচারের তৈরি মিথ্যাবাদী রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে হবে। আমরা লক্ষ্য করছি আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠার পাঁয়তারা করছে। তাদেরকে বাংলার ছাত্রজনতা রক্তের বিনিময়ে একবার উৎখাত করেছে, প্রয়োজনে বাংলার ছাত্রজনতা আবারও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামবে। সুতরাং অতিদ্রুত আওয়ামী লীগ ও তার অংগ সংগঠনসমূহ নিষিদ্ধ করে বাংলার বুকে তাদের কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ