খুলনা | মঙ্গলবার | ২০ মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিদায়ী সরকারের আরেকটি যুদ্ধ ঘোষণা : সতর্ক থাকতে হবে

|
১২:০৪ এ.এম | ২৮ অক্টোবর ২০২৪


অন্তর্বর্তী সরকারকে অকার্যকর করার লক্ষে অনেক ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে। আরেকটি যুদ্ধ ঘোষণা বাক্যটিকে সহজভাবে বা কথার কথা ভাবলে সরকারের  ভুল হবে। নানা মহলের বিদ্রোহ সৃষ্টির আশঙ্কার প্রশ্নে সতর্ক থাকতে হবে। বিভিন্ন দেশে বিপ্লবে পরাজিত শক্তি অল্প সময়ের মধ্যে আবার রাজনীতিতে ফিরে এসেছে। ১৯৮৬ সালে ফিলিপাইন এবং ১৯৯১ সালে হাইতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য দেশে-মেক্সিকো, কলম্বিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে ও নাইজেরিয়ার মতো দেশে গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসনের পতনের পর নানা কৌশলে আবার তারা ক্ষমতায় ফিরে এসেছিল।
বাংলাদেশের প্রশ্নে এমনটি ঘটবে না শুধু বললেই হবে না, আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাব্য পথকে চিরতরে বন্ধ করতে হবে। বিভিন্ন রিপোর্টের সূত্রে প্রকাশ বিগত স্বৈরাচার সরকার ও তার মন্ত্রী আমলারা ১৫০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। এই বিপুল টাকা দিয়ে প্রশাসনের সরকার বিরোধী ব্যক্তিদের কিনে ফেলতে পারলে আবার তাদের প্রত্যাবর্তন অসম্ভব নয়। এই টাকার নানাবিধ নাশকতা সৃষ্টির ক্ষমতা আছে। এটাই এখন সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার অনেক হাক ডাক শোনা যাচ্ছে। প্রয়োজনে বিদেশে বাংলাদেশী মিশনের মিশন প্রধানকে পরিবর্তন করে বিশ্বস্ত ও যোগ্য ব্যক্তিকে বসিয়ে অর্থ ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। পাচারকারীদের দেশীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। যারা বিপুল অর্থের বিনিময়ে স্বৈরাচারকে সুরক্ষা দিচ্ছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করতে হবে।
একজন সিনিয়র জুডিশিয়াল অফিসার ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টাকে লক্ষ্য করে শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি শহীদ আবু সাইদকে সন্ত্রাসী বলেও কটাক্ষ করেছেন। বিচার প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার এ ধরণের কর্মকান্ডে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে পতিত প্রশাসনে স্বৈরাচারের দোসররা এখনও সক্রিয়। নির্দেশ পেলেই তারা স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে আনতে মাঠে নেমে পড়বে। এ কথা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। বিএনপি সরকারের পতনের পেছনে সিভিল প্রশাসনের অসহযোগিতা ও বিদ্রোহ ছিল সবচেয়ে বড় কারণ। গত দেড় দশকে পলাতক সরকার প্রশাসনকে যেভাবে বিন্যাস করেছে তাদের অনেক অনুসারীরা এখনো বসে আছ প্রশাসনে। কোনো নাজুক পরিস্থিতিতে তারা যদি বিদ্রোহী হয়ে আন্দোলনের ডাক দেয় তবে অন্তর্বর্তী সরকার বিপন্ন হবে। যাবতীয় সংস্কারের মহাযজ্ঞ নিপাত যাবে। ছাত্র জনতার রক্ত বৃথা যাবে। এখনই নিতে হবে সর্বোচ্চ সতর্কতা।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ