খুলনা | সোমবার | ১৭ মার্চ ২০২৫ | ২ চৈত্র ১৪৩১

শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অভিযোগ কানাডার

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৫ পি.এম | ৩০ অক্টোবর ২০২৪


শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যা নিয়ে আবারও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলো কানাডা। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দেশটির সরকার অভিযোগ করেছে, কানাডার মাটিতে সংঘটিত ওই হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

কানাডার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মরিসন এক পার্লামেন্টারি প্যানেলে বলেছেন, ‘আমাকে ওয়াশিংটন পোস্টের এক সাংবাদিক ফোন দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে প্রশ্ন করেন, হত্যার পরিকল্পনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন অমিত শাহ কিনা। আমি তাকে নিশ্চিত করেছি, শাহ-ই সেই ব্যক্তি।’

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের এক প্রতিবেদনে প্রথমবার দাবি করেছিল, কানাডায় অবস্থানরত শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লক্ষ্য করে সহিংসতা ও ভয় দেখানোর পরিকল্পনায় শাহ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

অবশ্য নিজের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে কোনও প্রমাণ পেশ করেননি মরিসন।

কানাডায় ভারতীয় হাই কমিশনারের কার্যালয় ও ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

হত্যাকাণ্ডে কোনও সম্পৃক্ততা বরাবরই অস্বীকার করেছে ভারত সরকার। কানাডার আগের অভিযোগগুলোকেও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।

শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভারত থেকে বের  হয়ে ‘খালিস্তান’ নামে একটি স্বাধীন বাসভূমি প্রতিষ্ঠার দাবি করে আসছে। ফলে তাদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে ভারত সরকার। ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে এই দাবি জেরে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

২০২৩ সালে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদ্বীপ সিং নিজ্জর হত্যায় যোগসাজশের অভিযোগে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ছয়জন ভারতীয় কূটনীতিবিদকে বহিষ্কার করে কানাডার সরকার। এর জবাবে ঠিক ছয়জন কানাডীয় কূটনীতিবিদকে বের করে দেওয়ার আদেশ জারি করে ভারত।

তবে বিদেশের মাটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যা বা তার পরিকল্পনায় ভারতের জড়িত থাকার এটিই একমাত্র অভিযোগ নয়।

একজন সাবেক ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক সিটিতে বসবাসকারী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার আদেশ দেওয়ার অভিযোগ এনেছে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন-কানাডীয় নাগরিক এই শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ভারতের একজন কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত।

চীনের প্রভাব সীমিত করতে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচনা করে থাকে পশ্চিমা বিশ্ব। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার এসব অভিযোগ ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অগ্নিপরীক্ষার মধ্যে ফেলেছে।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ