খুলনা | সোমবার | ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সুন্দরবন থেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ১০ জেলে উদ্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১২:২২ এ.এম | ০৫ নভেম্বর ২০২৪


মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত দশ জেলেকে উদ্ধার করেছে বন বিভাগের সদস্যরা। রোরবার বেলা ২টার দিকে বনবিভাগের পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন চুনকুড়ি নদীর তক্কাখালী এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এসময় বনদস্যুদের সাথে বনবিভাগের সদস্যদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে বনদস্যুদের ফেলা যাওয়া তিনটি নৌকা, একটি সোলার প্যানেল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া জেলেদের রাতে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনে আনা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর চুনকুড়ি এলাকার দাউদ গাজীর ছেলে আব্দুল আলিম (৬২), একই এলাকা মৃত বাহার আলী সরদারের ছেলে নুর ইসলাম (৪৫), আব্দুল আলিম গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম (২৮), ছোট ভেটখালী এলাকার ফজলু সানর ছেলে হাফিজুর রহমান (৪৫), একই এলাকার মৃত নজরুল ফকিরের ছেলে রাজু ফকির (৪৭), মৃত মজিদ গাজীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫), নুরনগর ইউনিয়নের দুরমুজখালী এলাকার মৃত লিয়াকত মলি­কের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫), মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর এলাকার খলিলুর রহমান গাজীর ছেলে মফিজুর (৩৮), একই এলাকার মৃত ইমান আলী সানার ছেলে মুছাক সানা ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের বড় ভেটখালী এলাকার মৃত জয়নাল গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৭)।
কদমতলা ফরেস্ট স্টেশনের এসও সোলায়মান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদীর তক্কাখালী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বনদস্যু বাহিনীর সদস্যরা বনবিভাগের সদস্যদের লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। জবাবে বনবিভাগের সদস্যরাও পাল্টা ৫ রাইন্ড গুলি ছোড়ে। একপর্যায় প্রতিরোধের মুখে বনদস্যুরা জিম্মি করে রাখা জেলেদের রেখে বনের মধ্যে পালিয়ে যায়। এসময় বনদস্যুদের একটি অস্তানা ধ্বংস করে দেয়া হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত দশ জেলে, তিনটি নৌকা, একটি সোলার প্যানেল, ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, তাদেরকে বিভিন্ন সময় সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিপনের দাবিতে বনদস্যু মঞ্জুর বাহিনী সদস্যরপা অপহরণ করে। এই বাহিনীর প্রধান হিসেবে মঞ্জুর নিজেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সুন্দরবনে ফের দস্যুতা শুরু করেছে জেল ভেঙে পালানো দন্ডপ্রাপ্তসহ দাগী আসামিরা।

্রিন্ট

আরও সংবদ