বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষদের হত্যার দায়ে আ’লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ফ্যাসিবাদী দলের নেতাদের ‘প্রতিকী ফাঁসি’ কার্যকর করা হয়েছে। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ ‘প্রতিকী ফাঁসি’ কার্যকর করেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-শ্রমিক জনতা।
অন্য নেতারা হলেন- আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাতীয় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। 
ফাঁসির মঞ্চের পর্দা উন্মোচন করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল­া। প্রতিকী ফাঁসি শেষে তিনি বলেন, আ’লীগ যেকোনো প্রক্রিয়ায় পুনরায় ফিরে আসতে চাইছে। যারা গণহত্যা করেছে, গুম-খুন করেছে ও তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। তাদের রাজনৈতিক অপতৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের মধ্যে যারা এমপি মন্ত্রী হয়েছে, তাদের বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক, ব্যবসায়িক, আইনি-সকল অঙ্গন থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সমূলে উৎপাটন করতে হবে। ২৪-এর গণআন্দোলনে ছাত্র-জনতা হাত, পা, চোখ হারিয়েছে। মা-বাবা, ভাই-বোন, স্বামী-সন্তান হারিয়েছে। তারা কোনোদিন ফিরে আসবে না। তাহলে আ’লীগ, জাতীয় পার্টি কীভাবে ফিরে আসবে? আমরা গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সাথে বেঈমানি করতে পারি না।