খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০২ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১

ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনতার ঢল

খবর প্রতিবেদন |
১২:৫৯ পি.এম | ০৫ নভেম্বর ২০২৪


ইসলামি মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো আলেম-ওলামাদের ঢল নেমেছে। এরই মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মহাসম্মেলনের সীমানা ছাড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস, রমনা পার্কসহ আশপাশের এলাকা পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল নয়টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন শুরু হলেও ভোর থেকেই লাখো আলেম-ওলামার জমায়েত হতে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এই সম্মেলন দুপুর ১টা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে। দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারাসে কওমিয়া এবং দীনের হেফাজতের লক্ষ্যে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

দেখা যায়, সম্মেলনের শুরু থেকেই বক্তব্য দিচ্ছেন কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক আলেমরা। সম্মেলনে মানুষের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো। পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সম্মেলনে আগত অর্ধেকের বেশি মানুষ রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শহীদ মিনার, শাহবাগ, প্রেস ক্লাব এলাকায় সড়কে, ফুটপাতে বসে মাইকে বক্তব্য শুনছেন। আর মানুষের মাঝে বিনা মূল্যে খাবার বিতরণ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে সম্মেলনে অংশ নেওয়া মুবিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মাওলানা সাদ একজন বিতর্কিত আলেম। তার এক বক্তব্যের কারণেই বাংলাদেশে তাবলিগ জামাত এবং টঙ্গী ইজতেমা আলাদা হয়ে গেছে। এখন এই বক্তাকে আবার দেশে আনতে চাচ্ছে তাবলিগদের একটি অংশ। আবার তারা টঙ্গীতে প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে চাচ্ছে। এবার তাদের আর সেই সুযোগ দেওয়া হবে না।

সম্মেলনে আসা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক বলেন, মাওলানা সাদের অনুসারীরা তাকে দেশে এনে মুসলমানদের মধ্যে একটি বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমাদের ইসলামী দাওয়াতের কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদসহ টঙ্গী ইজতেমায় বিভক্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। অথচ দেশের অধিকাংশ আলেম-ওলামাসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমান তার বিপক্ষে। এ অবস্থায় যদি তাকে দেশে আনার পাঁয়তারা করা হয় দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই আমাদের আজকের এই সম্মেলন।

এর আগে, কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমরা একাধিক সংবাদ সম্মেলন করে সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও সাধারণ জনগণকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সম্মেলনে আল্লামা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা খলিল আহমাদ কাসেমী হাটহাজারী, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শাইখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদাবাদ, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানি, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত আছেন বলে জানা গেছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ