খুলনা | রবিবার | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

তালায় বিআরডিবির মাসিক সভা ও ই-প্রশিক্ষণের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

তালা প্রতিনিধি |
১২:২৪ এ.এম | ০৯ নভেম্বর ২০২৪


তালায় বাংলাদেশ পল­ী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) এর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি ৩য় পর্যায় সমিতিভুক্ত সমবায়ীদের ১ দিনের মাসিক যৌথসভা ও ই-প্রশিক্ষণ ভাতার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে অফিসার নারায়ণ চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। 
তথ্যমতে, উপজেলায় বিআরডিবি অফিসের আওতাধীন ২০ টি গ্রাম উন্নয়ন সমিতি রয়েছে। সমিতিভুক্ত সদস্যদের নিয়ে প্রতিদিন ৬০ জন করে মোট ৬ দিনের মাসিক যৌথসভা ও ই-প্রশিক্ষণ চলছে। প্রতিটা সমিতি থেকে ৩ জন করে সদস্য প্রশিক্ষণের অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও উপস্থিত সংখ্যা নগন্য।
প্রশিক্ষন চলাকালীন তালা শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে সরেজমিন দেখা যায় উপস্থিত সংখ্যা ছিলো মাত্র ৩১ জন। এর পূর্বেও আরো ৪টি প্রশিক্ষণ হয়েছে যেখানেও এমন কম সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলো। অথচ হাজিরা খাতায় ৬০ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। অনুপস্থিত সদস্যের ভাতার টাকা যাচ্ছে বিআরডিবি অফিসের কর্মকর্তার পকেটে। অফিস বলছে জন প্রতি হাজিরা বাবদ ৩শ’ এবং দুপুরের খাবার বাবদ ১শ’ ৫০ টাকা বরাদ্ধ রয়েছে। কিন্তু উপস্থিতিদের মাঝে ভাতা বাবাদ ৩শ’ টাকা করে দিলেও দুপুরের খাবার বাবদ ব্যায় করছে  মাত্র ৮০ টাকা। তা হলে বাকি টাকা যাচ্ছে কোথায় এমন প্রশ্ন অনেকের?
এদিকে প্রশিক্ষণের সময় সকাল ১০টা হতে বেলা ১টা পর্যন্ত হলেও দুপুর ১২টায় গিয়ে দেখা যায় মাত্র ৩১ জন উপস্থিত রয়েছে। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের উপস্থিত টের পেয়ে নিকটস্থ শহিদ আলী আহমদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ৭ জন শিক্ষাথীকে এনে উপস্থিতি বেশি দেখানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের রুমে বসিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া অনুপস্থিতিদের প্রশিক্ষণ স্বাক্ষর ঘরে বিআরডিবির কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র সারের নির্দেশে কর্মচারীরা নিজেইরাই স্বাক্ষর করে টাকা উত্তোলন করে নেওয়ারও সত্যতা মিলেছে। হাজিরা শিটে ৬০ জনের মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে তাদের মোবাইল নাম্বার যাচাই করলে হাজির প্রতি ৩শ’ টাকা ও খাবার বাবদ ১শ’ ৫০ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি উন্মোচন হবে।  
এ ব্যাপারে বিআরডিবি কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র সরকার বলেন, প্রশিক্ষণে মোটামুটি প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত রয়েছে। নাস্তা দেওয়ার পর কিছু টাকা থেকে যাচ্ছে, আমি সেই টাকা দিয়ে আমাদের অফিসে যারা রয়েছে তাদের নাস্তার ব্যবস্থা করি। বহিরাগতদের অংশগ্রহণের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, এটা আমি জানি না। 
 

্রিন্ট

আরও সংবদ