জেলার পাইকগাছা উপজেলায় জীবননাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক হারির ডিডে স্বাক্ষর করিয়ে হিন্দু স¤প্রদায়ের মৎস্য ঘের লুটপাট ও জবর দখলের অভিযাগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন পাইকগাছার দিঘলিয়া গ্রামের সত্যজিৎ সরদার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৪ ও ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে উপজেলা বিএনপি’র বহি®কৃত সাধারণ সম্পাদক সোলাদানা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হকের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আসলাম পারভেজ, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমরান সরদার, লতা ইউনিয়ন বিএনপি’র বহি®কৃত নেতা ইব্রাহীম গাজী, মাসুদ মোল­া, শামিম সরদার, জিয়ারুল গাজী, ময়না গাজী, আক্তার সরদারসহ কয়েকজন এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে দোকানপাট ঘরবাড়ি ভাঙচুর, ঘের দখল, চাঁদাবাজী করছে। তারা আমার কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে। সর্বশেষ ১ নভেম্বর আবারও আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এরপর থেকে সন্ত্রাসীরা পুনরায় আমার কাছে চাঁদা দাবি করছে। চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে লতা পুতলাখালী মৌজার ৬৫০ বিঘা ঘেরটি দখল করে নেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। শুধু তাই নয় আমার জমির মালিকদের বাড়ি থেকে ধরে গুপ্ত স্থানে নিয়ে জোরপূর্ব স্বাক্ষর করিয়ে নিচ্ছে তারা। আমি ঘেরের  চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার পূর্বেই ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি হতে ২০৩০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনরায় নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, অসীম ঢালী, বিজয় ঢালী, বিনয় ঢালী, গোকুল ঢালী, উত্তম মন্ডল, সঞ্জয় মন্ডল, পঞ্চানন মন্ডল, বসির শেখ, সৈয়দ মিনার বক্সকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে লিজ দলিলে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেবার অপচেষ্টা চালাচ্ছে ওইসব সন্ত্রাসীরা। সোলাদানা ইউনিয়নের শিবপদ মন্ডলের বাড়ি ভাঙচুর, স্বর্ণের গহনা, নগদ টাকা লুটপাট ও শওকাত চৌকিদারের বাড়ি লুটপাট ভাঙচুর করেছে তারা। এসব বিষয়ে যদি কাউকে বলি তাহলে জীবন শেষ করার হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।