খুলনা | সোমবার | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোসহ সংবিধান সংস্কারে নাগরিক ঐক্যের ৫ প্রস্তাব

খবর প্রতিবেদন |
০২:১৮ পি.এম | ১২ নভেম্বর ২০২৪


সংবিধান পরিবর্তন নয়, সংস্কারের দাবি জানিয়ে ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে রাজনৈতিক দল নাগরিক ঐক্য। আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘সংবিধান সংস্কার’ শীর্ষক সেমিনারে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

সংবিধান সংস্কারবিষয়ক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার। তিনি বলেন, সংবিধানের পুনর্লিখন বা বর্তমান সংবিধান ছুড়ে ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে গেলে যে প্যানডোরার বাক্স খুলে যাবে, তা বন্ধ করা অসম্ভব হয়ে উঠবে। কেউ ইসলামিক প্রজাতন্ত্র চাইতে পারে, কেউ চাইতে পারে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভিত্তি করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, কেউ আবার চাইতে পারে চব্বিশের আন্দোলনকে ভিত্তি ধরে নতুন করে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা হবে। রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজসহ অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন এত স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে যে, তা সংঘাতে রূপ নিতে পারে।

সেমিনারে বলা হয়, নাগরিক ঐক্য মনে করে, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য বিদ্যমান সংবিধানের সংস্কার প্রয়োজন। সংবিধান পুনর্লিখন না করে সংস্কারের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন তিনি।

নাগরিক ঐক্যের যে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরে রয়েছে, তা হলো—সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্রের উৎস প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রিক জবাবদিহিতাহীন স্বেচ্ছাচারী কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা ব্যবস্থার বদল ঘটিয়ে সংসদ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার পৃথককরণ ও যৌক্তিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা; সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার করে আস্থা ভোট ও বাজেট পাস ছাড়াই সব বিলে স্বাধীন মতামত প্রদান ও জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার নিশ্চিত করা; জনগণের ওপর নিবর্তনমূলক আইন প্রয়োগের সাংবিধানিক ক্ষমতা বাতিল করা; বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠা করা; নির্বাহী বিভাগের আর্থিক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ রহিত করা।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আরও উপস্থিত আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

্রিন্ট

আরও সংবদ