খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৩০ কার্তিক ১৪৩১

সরকারি জমি দখল : গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউলের ৩০টি দোকানপাট

খবর প্রতিবেদন |
০১:০৩ এ.এম | ১৩ নভেম্বর ২০২৪


সেনাবাহিনী থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরের রূপাতলী এলাকায় দখলকৃত জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় এ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বরিশাল সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর।
গত সোমবার  বেলা ১১টায় রূপাতলী গোল চত্বর থেকে সাগরদী ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে নির্মিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ শুরু হয়। সমাজসেবা অধিদফতরের দেয়াল ঘেঁষে সরকারি জমি দখল করে জিয়াউল আহসানের অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা ৩০টি দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সময়ে সড়কের দুই পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে উচ্ছেদ করে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।
দোকানপাটের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, স্থাপনা সরিয়ে নিতে চার দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল তাদের। ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল অন্তত এক মাসের। কিন্তু ওই সময় না পাওয়ায় দোকানের মালামাল সরাতে পারেননি তারা। এ ছাড়া দোকানপাট ভাড়া বাবাদ অগ্রিম তিন-চার লাখ টাকা দেওয়া আছে। তাও ফেরত পাননি ব্যবসায়ীরা। এতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধভাবে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তাদের প্রথমে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে মাইকিং করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘর সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়। ওই সময়ের মধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ী নিজ উদ্যোগে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে নিয়েছেন। আরা যারা সরাননি তাদের দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। এই উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে আমাদের।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল আহসান ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র‌্যাব-২-এর উপ-অধিনায়ক হন। ওই বছরই পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। পরে কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হন। ওই সময় র‌্যাব-৮-এর কর্মকর্তাদের দিয়ে সরকারি জমি দখল করে সেখানে দোকানপাট তুলে ভাড়া দিয়েছেন। ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর কিছুদিন তিনি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৭ সালে তাকে এনটিএমসির পরিচালক করা হয়। ২০২২ সালে সংস্থাটিতে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টি করে তাকে এনটিএমসির নেতৃত্বে রাখা হয়। ৬ আগস্ট চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ