খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বাজার ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হন জন জীবনের কষ্ট লাঘব করুন

|
১২:২৯ এ.এম | ১৭ নভেম্বর ২০২৪


দেশে বিধক্ষস্ত অর্থনীতিকে ছন্দে ফিরিয়ে আনতে যা প্রায় একটা যুদ্ধ বিধক্ষস্ত দেশের সাথে তুলনীয় তাকে স্বাভাবিক করতে সরকার প্রাণপণ চেষ্টা করছে। এর মধ্যে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে এনে অর্থনীতিকে গতিশীল করতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আশার কথা হলো জুলাইয়ের হতাশাব্যঞ্জক অবস্থান থেকে অক্টোবর নাগাত রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় প্রায় ৯ শতাংশ। এত ইতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারলেও সরকার পারছে না মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। খাদ্য পণ্যের দাম নাগালের ভেতর আনতে না পারলে জন জীবনে কষ্ট লাঘবের কোনো পথ নেই। সংস্কার কর্মকান্ড, নির্বাচন সব আয়োজন সফল হতে জন জীবনের কষ্ট লাঘব হবে পূর্ব শর্ত। খাদ্য মূল্যস্ফীতির উর্দ্ধগতি যেকোনো মূল্যে ঠেকাতে হবে। সরকারের দূর্বলতার কোনো অজুহাতই মানুষ শুনতে রাজী নয়। আগস্ট বিপ্লবের পর দ্রুত নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় হবে এমন জন প্রত্যাশা হতাশ করেছে। সরকারের অর্থবিভাগের তথ্য মতে, নবগঠিত সরকারের কাজ শুরু করতে হয় আগের সরকারের রেখে যাওয়া ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে। এর ভেতর বিদেশী ঋণের পরিমাণ ৬ হাজার আসল ও সুদ পরিশোধের চাপ এখন বর্তমান সরকারের কাঁধে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মজুদ বাড়ানোর পাশাপাশি দাম সহনীয় রাখতে শুল্ক কমিয়ে আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তার পরও বিদেশ থেকে চাল আমদানি শূন্যের কোটায় নেমেছে। গমের ক্ষেত্রেও প্রায় একই রকম। ডলার সংকটের কারণে ঋণপত্র (এলসি) জটিলতায় গমের আমদানি কমেছে। ফলে প্রধান চাল-আটা এ দু’টি খাদ্যপণ্যের দাম উর্দ্ধমুখী। খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গত অর্থ বছরে ৫৮০ টন। চলতি অর্থ বছরে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ২ রাখ ৪৫ হাজার ১৮০ টন। এ সময় কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। দেশে গমের চাহিদা ৭০-৭৫ লাখ টন। 
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হাল তথ্য মতে অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে আরো উর্দ্ধমুখী। খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার এখন ১২.৬৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে ছিল ৯.৯২ শতাংশ। অর্ত হচ্ছে ভোক্তাদের ১০০ টাকার খাদ্যপণ্য কিনতে হচ্ছে ১১২.৬৬ পয়সায়। তবে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।
বিবিএস সরকারি সংস্থটির তথ্য মতে, চাল-ডাল, তেল-লবণ, মাছ-গোশত, সবজি জাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।অক্টোবরে শহর অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১২.৫৩ শতাংশ, একই মাসে গ্রামাঞ্চলে এই হার ছিল ১২.৭৫ শতাংশ। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। বিবিএস বলছে-অক্টোবরে মজুরী সূচক বৃদ্ধির হার মাত্র ৮.০৭ শতাংশ। ফলে সংখ্যা গরিষ্ট মানুষ যারা গ্রামাঞ্চলে বাস করে তারা কষ্টে পড়েছে বেশি। তাই নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে বাজার ব্যবস্থাপনায় তীক্ষè নজরদারি এবং চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ