খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মণিপুরে ফের উত্তেজনা, দুই মন্ত্রী-তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা আগুন

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৫ এ.এম | ১৭ নভেম্বর ২০২৪


নতুন করে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের মণিপুর। শনিবার রাজ্যটির দুই মন্ত্রী ও তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এর আগে গত শুক্রবার রাতে জিরিবাম বিভাগে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যাদের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকি বিদ্রোহীরা অপহরণ করেছিল। আর এই মরদেহ উদ্ধারের পর শনিবার সকালে ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে মণিপুর। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইত গোষ্ঠীর সাধারণ মানুষ বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামেন। এ সময় দুই মন্ত্রী ও তিন বিধায়কের বাড়িতে আগুন দেন তারা।
বিধায়কদের বাড়িতে হামলার পর রাজধানী ইম্ফালের পশ্চিম প্রশাসন উক্ত বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিধিনিষেধ মূলক নির্দেশনা জারি করেছে।
উত্তেজিত জনতার একটি অংশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সাপাম রঞ্জনের লামফেলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
অপর দিকে ইম্ফালের পশ্চিম বিভাগের সাগোলবান্দে বিজেপির বিধায়ক আরকে ইমোর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। আরকে ইমো মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের মেয়ের জামাই।
এছাড়া বিক্ষোভকারীরা স্বতন্ত্র বিধায়ক সাপাম নিশিকান্ত সিংয়ের মালিকানাধীন একটি পত্রিকায় ভাঙচুর চালান।
কুকি বিদ্রোহীরা জিরিবাম থেকে মোট ছয়জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। যার মধ্যে তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনজনের দু’জন শিশু। বাকি একটি মরদেহ এক নারীর। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের অনেক আগেই হত্যা করা হয়েছে। কারণ মরদেহগুলো ফুলে ফেঁপে গিয়ে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল।
এর আগে পুলিশের বিশেষ শাখার সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে সন্দেহভাজন ১০ কুকি বিদ্রোহী নিহত হয়।
এক বছরের বেশি সময় আগে কুকি ও মেইত উপজাতির মধ্যে সা¤প্রতিক দাঙ্গা শুরু হয়। শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও রাজ্যটি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মূলত উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত কোটা নিয়ে এই সংঘাতের সৃষ্টি হয়। 
সূত্র: এনডিটিভি।

্রিন্ট

আরও সংবদ