খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১

খুলনার রাজনীতিতে আবারও সক্রিয় লবী

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:০৬ এ.এম | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪


খুলনার রাজনীতিতে আবারও সক্রিয় হচ্ছেন খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর বিএনপি’র সাবেক আহŸায়ক মোহাম্মদ আলী আসগার লবী। বিসিবি’র সাবেক এ সভাপতি আগামী নির্বাচনে খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী। এজন্য দলের শীর্ষ নেতাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। খুলনায় অনুসারীরাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। 
বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, গত ২৪ নভেম্বর খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের খুলনা পর্বের খেলা হয়। এ আয়োজনে আর্থিক সহযোগিতায় ছিলেন  মোহাম্মদ আলী আসগার লবী। টুর্নামেন্ট ঘিরে স্টেডিয়াম এলাকা, নগরীর রয়্যাল মোড়সহ কয়েকটি স্থানে তাঁর ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড টানানো হয়। ঢাকা থেকে এসে নিজেও স্টেডিয়ামে যান। এরপরই লবীকে নিয়ে খুলনায় আলোচনা শুরু হয়েছে।
লবীর অনুসারীরা জানান, আবারও খুলনা বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান লবী। দল থেকে খুলনা সদর আসনে আগের মতো মনোনয়ন দিলে, তিনি নির্বাচন করতে আগ্রহী। এ জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলী আসগার লবী বলেন, ‘আমি তো বিএনপি’র রাজনীতি ছাড়িনি। রাজনীতির মধ্যে ছিলাম, এখনও আছি। বেশ কয়েক বছর বিভিন্ন কারণে খুলনায় আসা কম হয়েছে, তবে সবকিছুতে অংশগ্রহণ ছিল। দলের জন্য আমার যা করা প্রয়োজন, করেছি।’ নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই হবে। বয়স হয়েছে, দেখি কী করা যায়। আল­াহ্ ভরসা। এখনও তো অনেক সময় আছে।’
দলীয় সূত্র জানায়, ২০০১ সালে আলী আসগার লবী বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ওই বছরের অক্টোবরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া খুলনা-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর তাঁর ছেড়ে দেওয়া আসনে উপ-নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় আলী আসগার লবী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৫ সালে খুলনা মহানগর বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি ভেঙে দিয়ে লবীকে আহŸায়ক করে কেন্দ্রীয় কমিটি। সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খুলনায় লবী ছিলেন প্রতাপশালী। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সরগরম থাকতো তাঁর নগরীর বড় মির্জাপুর এলাকার বাড়ি। দলীয় নেতা-কর্মী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড় লেগে থাকত। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তিনি বিসিবির সভাপতি হন। কিন্তু দেশে জরুরি অবস্থা জারি হলে ২০০৭ সালে ভাগ্যের বিপর্যয় ঘটে লবীর। ওই বছর ৬ ফেব্র“য়ারি ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী। বেশ কয়েকটি মামলাও হয়। ব্যাংক হিসাব ছাড়াও স্থাবর-অস্থাবর অনেক সম্পদ এবং কয়েকটি গাড়ি জব্দ করে তৎকালীন সরকার। ২০০৭ সালের জুলাইয়ে একটি মামলায় আদালত তাঁকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। ২০০৯ সালের শুরুতে জামিনে বের হন লবী। এরপর থেকে বেশির ভাগ সময় তিনি দেশের বাইরে ও ঢাকায় অবস্থান করেন। 
খুলনার রাজনীতিতে বর্তমানে আলী আসগার লবীর কোনো কার্যক্রম না থাকলেও অনুসারীরা তাঁর প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশায় রয়েছেন। তবে নগর বিএনপি’র বর্তমান আহŸায়ক কমিটি এবং সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু গ্র“প তাঁর সক্রিয়তা ইতিবাচকভাবে নেননি বলে জানা গেছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ