খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১

মুন্নী সাহার ‘প্যানিক অ্যাটাক’, পরিবারের জিম্মায় হচ্ছেন মুক্ত

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩০ এ.এম | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪


প্যানিক অ্যাটাকে ‘অসুস্থ’ সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিচ্ছে পুলিশ।

শনিবার রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিক্ষুপ্ত জনতার তোপের মুখে পড়েন এ নারী সাংবাদিক। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। সেখানে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

ডিবি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে প্যানিক অ্যাটাকে অসুস্থ হয়ে পড়াসহ সার্বিক দিক বিবেচনায় ৪৯৭ ধারায় পরিবারের জিম্মায় মুন্নী সাহাকে ছেড়ে দিচ্ছে পুলিশ। এজন্য চার মামলায় আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন নেওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের(ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। সেসব মামলায় তাকে আত্মসমর্পণ করে কোর্ট থেকে জামিন নিতে হবে। যেহেতু তিনি প্যানিক অ্যাটকের শিকার এবং নারী সাংবাদিক। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তাকে ছাড়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন নেওয়ার শর্তে ৪৯৭ ধারায় পরিবারের জিম্মায় গ্রেফতার মুন্নী সাহাকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান বলেন, কারওয়ান বাজারে বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে পড়ার পর তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো ছেড়ে দেওয়া হয়নি, তবে প্রক্রিয়া চলছে। যে থানায় মামলা রয়েছে সে থানার ওসি আসবে, যে থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়েছিল তারাও আসবে। এরপর পরিবারের জিম্মায় কাগজে-কলমে আইনানুসারে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

যদিও থানা হেফাজতে নেওয়ার পর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন।

জানা গেছে, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘এক টাকার খবরে’র অফিস থেকে বের হয়ে সবজি কিনতে যান মুন্নী সাহা। সেখানে গিয়ে তিনি জনতার তোপের মুখে পড়েন। বেশকিছুক্ষণ তাকে ঘিরে রাখা হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।

তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন বলেন, কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারের সামনে সবজি কিনছিলেন মুন্নী সাহা। এ সময় তাকে চিনতে পেরে একদল লোক বিক্ষুব্ধ হয়ে তার ওপর চড়াও হন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় তেজগাঁও থানা পুলিশ। পরে তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা দায়ের করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং পুলিশ ও র‍্যাব কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়। পাশাপাশি সাতজন সাংবাদিককেও এ মামলায় আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে একজন মুন্নী সাহা।
সূত্র : ঢাকা পোষ্ট 

্রিন্ট

আরও সংবদ