খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১

দেশের এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়বো না হুঁশিয়ারি জামায়াতে আমিরের

খবর প্রতিবেদন |
০২:০৭ পি.এম | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪


আমরা জীবন দেব কিন্তু বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়বো না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাঃ শফিকুর রহমান। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা সমতা, ভালোবাসা, অহিংস ঐক্য সাম্যের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। এদেশে সব ধর্মের-বর্ণের মানুষ মিলেমিশে আছি। বাংলাদেশ আমাদের সবার। শুক্রবার দুপুরে কুমিল­¬া নগরীর টাউন হল মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 
ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সোচ্চার ভাবে বলেছি বাংলাদেশে কোনো মেজরিটি এবং মাইনোরিটি মানি না। এদেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তারা সবাই এদেশের গর্বিত নাগরিক। মাইনোরিটি শব্দটি ব্যবহার করে দেশের বাইরে থেকে একটি গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়। 
তিনি বলেন, ভারতের কিছু হলুদ মিডিয়া যখন আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে, তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা মিছিল করে তার প্রতিবাদ করেছেন। তারা প্রমাণ করেছেন দেশ আমাদের সবার। আমরা ভারতের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করি না, কিন্তু তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। 
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের আইনজীবী ভাইকে হত্যার মাধ্যমে তারা একটি হত্যার হোলি খেলার ফাঁদ পেতেছিল, কিন্তু বাংলার জনগণ ধৈর্য এবং বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে তাদের মুখে চুনকালি মেরে দিয়েছে। 
জামায়াত আমির বলেন, ফ্যাসিস্ট আ’লীগ ক্ষমতায় এসে গুম-খুন আর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বিডিআর বিদ্রোহের নামে পরিকল্পিতভাবে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর ৫৭ জন চৌকস অফিসারকে হত্যা করেছে। ষড়যন্ত্র করে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ভিশন নিয়ে তারা নেমেছিল। জাতি ২০২৪ সালের গণহত্যাসহ প্রতিটি হত্যার বিচার চায়। আইনের মাধ্যমে এ বিচার অবশ্যই করতে হবে। 
তিনি আরো বলেন, সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা দেশের মানুষের সেবা করার জন্য সবার সহযোগিতা চাই। এই দেশ নতুন ভাবে গড়তে হবে। এই দেশ গড়তে হলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ কলঙ্কমুক্ত কিছু মানুষ দরকার। সংস্কার এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। 
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের ত্যাগ এখনও শেষ হয় নাই। আরো অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। যে জাতির নেতারা ঘুমিয়ে থাকে সে জাতি যেকোনো সময় বিপদের সম্মুখীন হতে পারে।  
জামায়াত আমির বলেন, যারা দেশের জন্য রক্ত দিয়েছেন, আমরা তাদের রক্তের ঋণ যেন শোধ করার সুযোগ পাই।
তিনি বলেন, দু’টি ন্যায্য দাবি থেকে কুমিল্লাবাসীকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। কুমিল­¬া বিভাগ এবং কুমিল­¬া বিমানবন্দর চালু বাস্তবায়ন দেখতে চাই। 
শুক্রবার দীর্ঘ ১৯ বছর পর কুমিল্লায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন নগরীর কান্দিরপাড়, টমছম ব্রিজ রোড, ঝাউতলা রোড, জিলা স্কুল রোড, সার্কিট হাউজ রোড, প্রেস ক্লাব মোড়সহ নগরীর সবক’টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট জনসমুদ্রে পরিণত হয়। নেতা-কর্মীদের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা নগরী। টাউন হল মাঠ ছাড়াও নারী নেতা-কর্মীদের জন্য আলাদা ভাবে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে প্যান্ডেল স্থাপন করা হয়।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরের আমির কাজী দীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।

্রিন্ট

আরও সংবদ

জাতীয়

প্রায় ২ দিন আগে