খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১

ক্রান্তিলগ্নের ভগ্নদশা থেকে বিচারবিভাগও মুক্ত নয় : প্রধান বিচারপতি

খবর প্রতিবেদন |
০৬:২২ পি.এম | ০২ ডিসেম্বর ২০২৪


দেশের ক্রান্তিলগ্নের বর্তমান ভগ্নদশা থেকে বিচারবিভাগও মুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্টের পর আপনারা সারাদেশের হৃদয়ে ভগ্নদশা দেখেছেন, সেই অবস্থা আমাদের বিচারবিভাগেও আছে। আমরা যথাযথ সংস্কারের চেষ্টা করছি। এমনকি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই যে, বিচারবিভাগের কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমেই আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সুশাসনের জন্য জনসম্পৃক্ত সংস্কার : অসুবিধাগ্রস্থ জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক আয়োজিত নাগরিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা তাদের জীবন বাজি রেখে আমাদেরকে নতুন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। ছাত্র-জনতার এই বিপ্লব আমাদেরকে নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অপার সুযোগ করে দিয়েছে। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার আমাদের করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ন্যায়বিচার যাতে বিলম্বিত না হয়। একইসঙ্গে আমাদেরকে নাগরিক অধিকার রক্ষায় আরো উদ্যোগী হতে হবে। যদি নাগরিক অধিকার রক্ষিত না হয়, তাহলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষিত হবে না। আর তা না হলে স্বাধীনতার মূল আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমরা ব্যর্থ হব।

সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের আগামী দিনে এগিয়ে নেওয়া না হলে ৫ আগস্টে যারা প্রাণ দিয়েছেন বা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা কোনো কাজে আসবে না। যেই মানুষগুলো কষ্টে আছে তাদের কথা তুলে ধরলে এবং তাদের জীবন যাত্রার পরিবর্তন নিয়ে আসলেই আমাদের কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসবে।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের দৃঢ় চেতনাকে স্মরণ করে প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লব নিপীড়নকে উৎখাত, ন্যায়বিচার, সাম্য এবং মানবতা পুনরুদ্ধারের লড়াই। আমাদের ইতিহাসের এই সংজ্ঞায়িত মুহূর্তগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ন্যায়বিচারের সন্ধান একটি ক্ষণস্থায়ী প্রচেষ্টা নয় বরং একটি আজীবন প্রতিশ্রুতি। যা আমাদের বিচারিক মিশনের ভিত্তি তৈরি করে।

এ সময় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত ও শক্তিশালী করতে অন্তর্র্বতী সরকারের সংলাপ অব্যাহত রাখতে হবে। সবার জন্য সংলাপের দুয়ার খোলা রাখতে হবে। একইসঙ্গে সুশাসনের জন্য সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিতে হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ