খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের টার্গেট কিলিং করা হচ্ছে

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩২ এ.এম | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪


জুলাই-আগস্টের আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে যারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে টার্গেট কিলিং করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষার্থী সানজিদ হাসান তানভীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সানজিদ হাসান তানভীর বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। তারা গণহত্যার অভিপ্রায়ে প্রতিনিয়ত ফেসবুক পেজ বা সাইবার স্পেস ব্যবহার করে প্রকাশ্যে হুমকি- ধামকি দিয়ে আসছে। যারা আন্দোলনে ছিল তাদের হত্যা করা হবে বলে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা গেরিলা যুদ্ধের নামে আমাদেরকে হুমকি দিয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সন্ত্রাসীদের এমন হুমকি কেন? এমন প্রশ্ন আমরা জাতির সামনে রাখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী গাজীপুরের সাকিবকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে সে জান বাঁচাতে পালিয়ে যায়। এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিনিয়ত ঘটছে। আমাদের প্রশ্ন রাষ্ট্র আমাদেরকে নিরাপত্তা দিচ্ছে কিনা? কারণ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের তৃণমূলের আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে।
সানজিদ হাসান আরও বলেন, এ সমস্ত সন্ত্রাসীরা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। টার্গেট করে হত্যা করার পর তারা বলছে আলহামদুলিল­াহ। আমরা এ সমস্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। আমরা চাই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হোক। আমরা এজন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। গণহত্যা চলার সময় আমরা যারা মাঠে আন্দোলন করেছি তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সাক্ষী। সাক্ষীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে আইন আছে; যার জন্য আদালতে এসেছি।
এদিন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও সমন্বয়ক কাওসার হাবিব বলেন, আমাদের সহকর্মীদের ওপর বিভিন্নভাবে হামলা করা হচ্ছে। সহকর্মীরা টার্গেট কিলিং-এর শিকার হচ্ছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে বিপ্লবীরা কেন শহিদ হবে। এ সমস্ত বিষয়ে আমরা ট্রাইব্যুনালে এসেছি জানানোর জন্য।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ