খুলনা | শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১

জননিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

|
১২:৩৫ এ.এম | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪


সামগ্রিকভাবেই দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, খুনখারাবি ক্রমেই বাড়ছে। বাড়ছে পারিবারিক ও সামাজিক সংঘাতের ঘটনাও।  গত কয়েক মাসে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে দুই শতাধিক ব্যক্তি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। সড়ক, মহাসড়কে ছিনতাইয়ের পাশাপাশি ডাকাতির ঘটনাও ঘটছে। ডাকাতদলের হাতে এই সময়ের মধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ডাকাতি-ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সারা দেশে থানা ও জেলখানায় হামলা হয়। সুযোগ সন্ধানীরা থানায় থাকা আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে। গত আড়াই মাসে লুট হওয়া অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তারপরও একটি বড়সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার করা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এসব অস্ত্রের একটি বড় অংশ অপরাধীদের কাছে চলে গেছে। তারা সময়ে সময়ে সেসব অস্ত্র ব্যবহারও করছে।
অন্যদিকে আন্দোলনের সময় পুলিশের গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ভবন ও মূল্যবান দলিলপত্র পুড়ে যায়। তাই পুলিশের কার্যক্রমও কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়েছে। জানা যায়, আগের মতো রাতের সড়কে পুলিশের টহল নেই বললেই চলে। এর সুযোগ নিচ্ছে ছিনতাইকারীরা। তারা ঝাঁপিয়ে পড়ছে গভীর রাতে চলাচলকারী মানুষের ওপর। এর মধ্যে একটি বড় অংশই শ্রমজীবী মানুষ। 
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, দেশে ১০ হাজারের বেশি ডাকাত ও ছিনতাইকারী রয়েছে। গত বছরের এক হিসাবের ভিত্তিতে ডিএমপি সূত্র বলছে, শুধু রাজধানী ঢাকায়ই রয়েছে ছয় হাজার ১৯৮ জন ডাকাত ও ছিনতাইকারী। ঢাকায় প্রতি রাতেই এ রকম অনেক ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাড়িতে সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের পোশাক পরে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল হামলা চালিয়ে ৭৫ লাখ টাকা এবং ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে। পুরান ঢাকার শ্যামবাজার এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে রিকশা নিয়ে বের হওয়া মো. আনোয়ার নামের একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর অটোরিকশাটিও ছিনতাই হয়ে গেছে। শুধু ঢাকায় নয়, ঢাকার বাইরেও এমন অনেক ঘটনা ঘটছে। ঘটছে হতাহতের ঘটনাও। মানুষ এক বেলা কম খেয়ে হলেও নিরাপদে জীবন যাপন করতে চায়। আমরা আশা করি, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ