খুলনা | শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজসহ সিকদার গ্র“পের ১৫ প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

খবর প্রতিবেদন |
০১:২৬ এ.এম | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪


সিকদার গ্র“পের ১৫টি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া ক্রোকের এই নির্দেশ দিয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম এ্যাভিনিউয়ের ১২ কাঠা জমিতে ১৩তলা ভবন, ধানমন্ডি সীমান্ত স্কয়ারের ৮ হাজার ৭৫১ বর্গফুট আয়তনের ফ্লোর-যা ন্যাশনাল ব্যাংককে ভাড়া দেওয়া। হাজারীবাগের সিকদার রিয়েল এস্টেট বিল্ডিং, সিকদার রিয়েল এস্টেটের ওয়েস্টার্ন কমিউনিটি সেন্টার বিল্ডিং, সীমান্ত স্কয়ারের পাঁচতলায় ৪ হাজার ৭০০ স্কয়ার ফুটের ফ্লোর, ধানমন্ডির জেড এইচ সিকদার উইমেন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, হাজারীবাগের একটি সাততলা ভবনের নিচতলা, চতুর্থ তলা ও পঞ্চম তলা-যা ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে ভাড়া দেওয়া, বনানীর কামাল টাওয়ারের ১৮ তলা ভবনের ৩ হাজার ৪০০ ফুট স্পেস যা ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে ভাড়া দেওয়া।
আরও রয়েছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সিকদার শপিং কমপ্লেক্স, পটুয়াখালীর কলাপাড়া ইউনিয়নের একটি ছয়তলা ভবনের অংশ—যা ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে ভাড়া দেওয়া, বাগেরহাটের মোংলায় তিনতলা ভবনের নিচতলায় ৩ হাজার বর্গফুটের স্পেস-যা বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির কাছে ভাড়া দেওয়া, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ তিনতলা ভবনের নিচতলা ও দোতলায় ৪ হাজার ২০০ স্কয়ার ফুটের স্পেস-যা ন্যাশনাল ব্যাংককে ভাড়া দেওয়া। এ ছাড়া শরীয়তপুরের মাধবপুরে জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবহৃত একটি ভবন, সীমান্ত স্কয়ারের চতুর্থ তলায় ৯ হাজার ৩৭৭ ফুট ব্যাংকের-যা ন্যাশনাল ব্যাংকের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং বিভাগের কাছে ভাড়া দেওয়া, হাজারীবাগের সিকদার রিয়েল এস্টেটের ১০ তলা ভবনের ৫তলা-যা ন্যাশনাল ব্যাংকের মহিলা শাখা ও কার্ড প্রসেসিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত।
এসব সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক জি এম আহসানুল কবির। আবেদনে উলে­খ করা হয়েছে, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার ও সদস্যবৃন্দের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নামে বেনামে জনগণের আলামত লুটপাট করাসহ ঘুষের বিনিময়ে বিধি বহির্ভূতভাবে ঋণ দেওয়া ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
অনুসন্ধানকালে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের মালিক পক্ষ কর্তৃক জনগণের আমানতকৃত হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। সিকদার গ্র“পের সদস্যরা নিজেদের ও আত্মীয় স্বজনের নামে প্রচুর সহায় সম্পদ গড়ে তুলেছেন। নিজেদের পরিচালনাধীন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। আবার এসব প্রতিষ্ঠান কাছে ভাড়া দিয়ে রন হক শিকদার, তার মা মনোয়ারা হক সিকদার ও অন্যরা ওই সব ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং করেছেন।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব প্রতিষ্ঠান ক্রোক করা প্রয়োজন। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানগুলো হস্তান্তর অথবা বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ