খুলনা | শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১

আনন্দ-উৎসবে বড়দিন উদযাপিত

খবর ডেস্ক |
০১:৩০ এ.এম | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪


যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-উৎসব, প্রার্থনা ও প্রীতিভোজের মধ্য দিয়ে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন ‘শুভ বড়দিন’ উদ্যাপন করলো খ্রিস্টান স¤প্রদায়। দিবসটি ঘিরে আনন্দ-হাসি-গানে প্রাণ মিলেছে প্রাণে। মানবতার কল্যাণে যিশু খ্রিস্টের শান্তির বাণী মানুষের অন্তরে অন্তরে  যেন ছড়িয়ে যায় সে প্রার্থনা করেছেন অনুসারীরা। আর ক্রিসমাস ট্রি ও সান্তাক্লজের উপহারে মেতেছে শিশুরা।
বুধবার দিনভর সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে যিশুর পৃথিবীতে আগমনের উপলক্ষ দিবসটি উদ্যাপন করেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।  
নগরীর বিভিন্ন চার্চে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রার্থনা, মানবকল্যাণে যিশুর বাণী পড়ে শোনানো এবং ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর প্রীতি ভোজ ও র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। চার্চের প্রীতিভোজে খ্রিস্টান স¤প্রদায়ের লোক ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়।
দিনটি উপলক্ষে খুলনাসহ সারাদেশের নানা চার্চ ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সরকারি ছুটির দিন হওয়ার কারণে অনেকে বড়দিন উদ্যাপনে শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন।
বিভিন্ন এলাকার চার্চে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকেই চার্চে প্রশাসনের নিয়মিত বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপর হন। জোরদার করা হয় নিরাপত্তা। এছাড়া সেনাবাহিনীর গাড়িও টহল দেয়।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর জানান, প্রশাসনের নিবিড় তৎপরতার কারণে শতভাবে নিরাপত্তার সঙ্গে বড়দিনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। কোনো নিরাপত্তাহীনতার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
সকাল ১০টা থেকে মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রার্থনা শুরু হয়। এতে প্রায় দেড় হাজারের মত পুণ্যার্থী অংশ নেন। দুপুরে হয় প্রীতিভোজ। এরপর বড়দিন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ