খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০২ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১

হঠাৎ নেচে উঠছেন নারীরা, থাকছে না নিয়ন্ত্রণ, আক্রান্ত রহস্যময় ভাইরাসে!

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৪ পি.এম | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪


বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ করেই নেচে উঠছেন নারীরা। থামতে চাইলেও পারছেন না। শরীরের ওপর থাকছে না কোনো নিয়ন্ত্রণ। এমন অদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য দায়ী রহস্যময় ভাইরাস। যার নামও বেশ অদ্ভুত। ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’। সম্প্রতি আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় এই ভাইরাসের দেখা মিলেছে। উগান্ডার প্রচলিত কথ্য ভাষায় এই শব্দের অর্থ- ‘নাচের মতো কাঁপুনি’। চিকিৎসক মহলও ভাইরাসটি নিয়ে চিন্তিত।  

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি উগান্ডার বুন্দিবুগায়োতে কয়েকজন নারী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। বর্তমানে সেই সংখ্যা ৩০০ পেরিয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা চলার পর অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। স্বস্তির বিষয় হলো এখনও পর্যন্ত ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাসে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই ভাইরাসে নারীরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাসের উপসর্গ 
ই ভাইরাসের অন্যতম উপসর্গ হঠাৎ প্রচণ্ড জ্বর এবং শারীরিক দুর্বলতা। এর সঙ্গে রয়েছে প্রবল কাঁপুনি। যারাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের শরীরের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাসের আরও কিছু লক্ষণ হলো- অসংলগ্নভাবে চলা ফেরা, কথাবার্তায় অসঙ্গতি, রেগে যাওয়া।

‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ ভাইরাসটি মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৫১৮ সালের ইতিহাস। তখন দেখা দিয়েছিল ‘ডান্সিং প্লেগ’। ফ্রান্সের স্ট্রসবুর্গে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। আক্রান্তরা পরপর কয়েকদিন ধরে নাচছিলেন। নাচতে-নাচতে, হাঁপাতে-হাঁপাতে মৃত্যুও ঘটেছিল কারও-কারও। সেসময় ডান্সিং প্লেগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪০০ জন!  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপাতত অ্যান্টিবায়োটিকেই কাজ হচ্ছে। এতেই সেরে উঠছেন রোগীরা। তবে ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাসের কারণ এখনও জানা যায়নি। আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা চলছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ