খুলনা | শনিবার | ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১

কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কমেছে : চলতি বছরে নিহত ৯০৫, আহত ২১৮ শ্রমিক

খবর প্রতিবেদন |
০১:৫০ এ.এম | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪


চলতি বছরে অনিরাপদ কর্মক্ষেত্রের কারণে বিভিন্ন সেক্টরে ৯০৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। একই সময়ে ২১৮ জন আহত হয়েছেন জানিয়ে এক সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ এ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশন।
সংস্থাটির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিগত ২০২৩ সালে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ৪৩২ জন এবং আহত হয়েছিলেন ৫০২ জন। ফলে গত বছরের তুলনায় শ্রমিক নিহতের সংখ্যা কমেছে ৫২৭ জন, যা ৩৬.৮ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা কমেছে ২৮৪ জন, যা ৫৬.৬ শতাংশ।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৪ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানান ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. এস এম মোর্শেদ। ১৫টি দৈনিক সংবাদপত্র এবং ওশি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাঠপর্যায় থেকে সংগ্রহ তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে কর্মক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ১১৩ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ৭৫ জন এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ৭৯২ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ১৪৩ জন।
খাত ভিত্তিক তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ৫২২ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৫২ জন, ১৪৮ জন দিনমজুর নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৭২ জন, নির্মাণ খাতে নিহত ৬২ জন এবং আহত ৫ জন, কৃষি খাতে শ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা ৬১ জন ও আহত হয়েছেন ১ জন, মৎস্য খাতে নিহত ২৫ জন ও আহত ১০ জন, পোশাক শিল্পে নিহত ৫ জন ও আহত ২৯ জন, বিভিন্ন সেবা খাতে নিহত ২৪ জন ও আহত ১ জন, জাহাজভাঙা/শিপব্রেকিংয়ে নিহত ১১ জন ও আহত ৬ জন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নিহত ৬ জন ও আহত ৩ জন, নিরাপত্তা খাতে নিহত ৫ জন ও আহত ২ জন, গৃহস্থালি কাজে নিহত ৫ জন ও আহত ১ জন, চা শ্রমিক নিহত ৩ জন এবং অন্যান্য খাতে শ্রমিক নিহত ২৮ জন ও আহত ৩৬ জন।
প্রতিবেদনে কর্মস্থলে হতাহতের উলে­খযোগ্য কারণ হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, অগ্নিকাণ্ড, ভবন বা স্থাপনা থেকে পড়ে যাওয়া, বজ্রপাত, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, গৃহশ্রমিকদের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন, দেয়াল-ভবন-ছাদ ধ্বংস, বন্যপ্রাণীর আক্রমণ ও ভূমি ধসের কথা বলা হয়েছে। 

্রিন্ট

আরও সংবদ