খুলনা | শনিবার | ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১

সালাম মূর্শেদীসহ ১৩ জনকে আসামি করে চার্জশিট

খবর প্রতিবেদন |
০২:৩৮ এ.এম | ০১ জানুয়ারী ২০২৫


আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আব্দুস সালাম মূর্শেদী। গুলশান-২ আবাসিক এলাকার ১০৪ নম্বর সড়কের ২৭/বি নম্বরে ২৭ কাঠা সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের ঘটনায় অবশেষে তিনি আসামি হলেন। একই সঙ্গে আসামির তালিকায় যোগ হয়েছেন ওই সম্পত্তি দখল করা অপর অংশীদার ইফফাত হক ও তার স্বামী মোহাম্মদ আব্দুল মঈন। এ দম্পতি ২৭ কাঠার মধ্যে ১২ কাঠা দখল করেছিলেন। বাকি ১৫ কাঠা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন সালাম মূর্শেদী।
তদন্তে আগত হিসেবে চার্জশিটে (তদন্ত প্রতিবেদন) ইফফাত হক ও তার স্বামী মোহাম্মদ আব্দুল মঈন আসামি হয়েছেন। এ দম্পতি মামলায় আসামি ছিলেন না। 
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতে এ সংক্রান্ত মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুদকের উপপরিচালক আনোয়ারুল হক ও উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল¬াহ আল মামুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৩ আসামি হলেন-রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম ও প্রকৌশলী এম আজিজুল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট) লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম নুরুল হক, সাবেক পরিচালক আবদুর রহমান ভূঁঞা, সাবেক উপ-পরিচালক (এস্টেট) আজহারুল ইসলাম ও সাবেক তত্ত¡াবধায়ক হাবিব উল­¬াহ। 
এছাড়াও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সহকারী সচিব আবদুস সোবহান, সাবেক শাখা সহকারী মাহবুবুল হক এবং কক্সবাজারের রামুর বাসিন্দা মীর মোহাম্মদ হাসান ও তার ভাই মীর মোঃ নুরুল আফছারকে আসামি করা হয়েছে।
চার্জশিটে নতুন করে সালাম মূর্শেদীসহ জমির দখলদার হিসেবে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। আর চার্জশিটে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে রাজউকের সহকারী পরিচালক (নিরীক্ষা ও বাজেট) শাহ সদরুল আলমকে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর হত্যা মামলায় গত ১ অক্টোবর সালাম মূর্শেদীকে গ্রেফতার করা হয়।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ও সরকারি কর্মচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং অসৎ উদ্দেশ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে খ তালিকাভুক্ত গুলশান আবাসিক এলাকার সিইএন (ডি) ২৭নং, হোল্ডিং নং-২৯, রোড নং-১০৪ প্লটটি পরিত্যক্ত ২৭ কাঠা সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হওয়া সত্তে¡ও অবমুক্তকরণ ছাড়াই জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ডপত্র তৈরি করেন। যা পরে হস্তান্তর অনুমতি ও নামজারি অনুমোদন করার মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের সুযোগ তৈরি করে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ