বিসিবি সভাপতি হিসেবে গেল বছরের আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ফারুক আহমেদ। নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের ক্রিকেট নিয়ে সমর্থকদের প্রত্যাশা আরও বেড়েছে। তবে ফারুক আহমেদ জানালেন চার মাসেই ম্যাজিকাল কিছু করা যাবে না।

আজ বুধবার (০১ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলার মাঠে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন ফারুক। এ সময় বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘আপনি যদি শুধু পরিসংখ্যান দেখেন, এটা ছিল ভালো খারাপের সংমিশ্রণ। আমরা পাকিস্তানে দুটি সিরিজ জিতেছি, ভারতে দুটি টেস্টই হেরেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে একটা করে টেস্ট জিতেছি আর হেরেছি। ঢাকায় আবার দুটি হোম সিরিজ হেরেছি। আবার টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে তাদের হারিয়েছি। এটা সংমিশ্রণ বলতে পারেন।’

আমরা যাই করি ফলাফলের দিকটা ভেবেই করি, কিন্তু ফলাফল পেতে হলে আপনাকে কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাওয়া দরকার। প্রক্রিয়া যদি আমরা ঠিক করতে পারি, এটা কিন্তু লজিক্যাল সিকুয়েন্স যে ফলাফল আসবেই। আমার মাত্র চার মাস হয়েছে আপনি বললেন। চার মাসে ম্যাজিকাল কিছু করা যাবে না।

এদিকে এবারের বিপিএলের প্রথম দুই দিনের ম্যাচগুলোতে রান ওঠেছে বেশ। উইকেট ভালো হওয়ায় ক্রিকেটাররাও নির্ভয়ে খেলতে পারছেন। এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা ভালো উইকেটে ওয়ানডে খেলেছিলাম। কিন্তু আমরা কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম রান তোলায়। তাই আমার মনে হয়েছে আমাদের দুই-তিনটা সিরিজ ভালো উইকেটে খেলা দরকার। তাই আমরা ভালো উইকেটে খেলার চেষ্টা করছি।’

ফারুক আরও বলেন, কিছু জিনিসে আমি জোর দিয়েছি, যেমন ক্রিকেটাররা যেটাই খেলুক বোর্ড থেকে এটা নিয়ে আমি বলেছি যে কিছুই বলা যাবে না কারো। আবার খেলোয়াড়রা যখন খুব ভালো খেলে, আগে দেখতাম ওরা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিত, এগুলো এখন কমেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ভালো উইকেট একজন ভালো ব্যাটার পড়তে পারে। এই উইকেটে একজন ব্যাটার জানে কোথায় বল পড়লে কোন শট সে খেলবে। থামবে, না উঠবে, না নিচে নামবে। তখন কিন্তু সে ভয়ডরহীন শট খেলে। তবে সব সময় যে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট বানাতে হবে ব্যাপারটা তা না। সেই অভ্যাসটা থাকতে হবে, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবেন।’

অল্প সময়েই যুগান্তকারী কিছু করা সম্ভব নয় জানিয়ে বিসিবির সভাপতি আরও বলেন, ‘ফলাফল চাইলে কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে যাওয়া দরকার। আমার ৪ মাস হয়েছে দায়িত্বের। আমরা যদি প্রক্রিয়াটা ঠিক করতে পারি তাহলে লজিক্যালি রেজাল্ট আসবে। এ জন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে। ৪ মাসে ম্যাজিক কিছু করা যাবে না।’

আমার মনে হয় একটা অর্গানাইজেশনে এই কোওর্ডিনেশনটা খুবই প্রয়োজন, আমরা তো এক সঙ্গেই কাজ করি। যেমন আপনারা স্পোর্টস সাংবাদিক, আপনারা তো সমালোচনা করবেনই। তো এটা যদি গঠনমূলক হয় তাহলে আমাদেরও সুবিধা হয়।