খুলনা | রবিবার | ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১

ডুমুরিায় সাংবাদিককে জীবননাশের হুমকি ইটভাটা মালিকের, থানায় জিডি

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি |
১২:৩০ এ.এম | ০২ জানুয়ারী ২০২৫


ডুমুরিয়ায় নদী খননের মাটি চুরি করে ইট ভাটায় নেয়া হচ্ছে এমন সংবাদের তথ্য সংগ্রহকালে লোকসমাজের ডুমুরিয়া সংবাদদাতাকে জীবননাশের হুমকি দিয়েছে ভাটা মালিক। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কুলবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক এম রুহুল আমীন থানায় জিডি করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় শালতা নদীর খননকৃত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের জন্যে রাখা মাটি গত কয়েকদিন ধরে ট্রলিতে ভরে রঞ্জন সরদারের মালিকানাধীন ভাই ভাই ব্রিকস্ এ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুকনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রুহুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি গাজী আব্দুল কুদ্দুস এবং দৈনিক পূর্বাঞ্চল প্রতিনিধি গৌতম রাহা ঘটনাস্থলে যান। তারা সেখানে ৫টি ট্রলি দেখতে পান। ট্রলি চালক মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর এলাকার মোঃ মনিরুজ্জামান ও কেশবপুরের বায়শা এলাকার মনিরুল ইসলাম জানান ভাই ভাই ব্রিকস্-এর মালিক রঞ্জন সরদার তাদের নিয়ে এসছে। এ সময় সাংবাদিক রুহুল আমীন রঞ্জন সরদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করে মাটি নেয়ার ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি আছে জানতে চান। এ সময় তিনি বলেন অনুমতি থাক বা না থাক তাতে আপনার কি? এরপর রুহুল আমীনকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে মোবাইল ফোনটি আরেকজনের কাছে দিয়ে দেন। সেই ব্যক্তি নিজেকে বিউটি ব্রিকস্-এর মালিক স্বপন সরদার পরিচয় দিয়ে রুহুল আমীনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন সংবাদ প্রকাশ করবে তো? ওসব আমরা থোড়াই কেয়ার করি, তোমরা তোমাদের ক্ষমতায় যা পার তাই কর। কাগজে আগে সংবাদ আসুক তারপর সংবাদ লেখার সাধ মিটিয়ে দেব। এরপর আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন কলটি কেটে দেন। এ ব্যাপারে রুহুল আমীন বুধবার দুপুরে ডুমুরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। মাটি কাাঁর অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আল আমীন বলেন, সরকারী মাটি কেটে নেয়ার অনুমতি কাউকে দেয়া হয়নি। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আগামীকাল থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

্রিন্ট

আরও সংবদ