খুলনা | রবিবার | ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য হলো পাকিস্তান

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৬ এ.এম | ০২ জানুয়ারী ২০২৫


১ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (টঘঝঈ) অস্থায়ী সদস্য হিসাবে তার দুই বছরের মেয়াদ শুরু করলো পাকিস্তান।  রাষ্ট্রদূত মুনির আকরাম এ বিষয়ে বলেন যে  প্রধান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পাকিস্তানি প্রতিনিধিদল “সক্রিয় এবং গঠনমূলক” ভূমিকা পালন করবে। মুনির আকরাম বলেন, ‘আমরা এমন একটা সময়ে এই পরিষদে জায়গা পেলাম যখন বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। বড় বড় শক্তির আগ্রাসন-সহ, ইউরোপ মধ্য-পূর্ব, আফ্রিকাসহ বহু দেশ যুদ্ধের মুখোমুখি। এই কঠিন সময়ে সক্রিয় ও সমর্থক পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেব আমরা। যুদ্ধ এড়িয়ে যাতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে হাঁটা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলাতেও আমরা সদর্থক ভূমিকা নেব। রাষ্ট্র-চালিত এ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অফ পাকিস্তান (এপিপি) বার্তা সংস্থাকে জাতিসংঘে (ইউএন) পাকিস্তানের শীর্ষ কূটনীতিক আকরাম বলেছেন, “নিরাপত্তা পরিষদে আমাদের উপস্থিতি অনুভূত হবে।' পাকিস্তানি সংবাদ সংস্থা ডন  রিপোর্ট করেছে, ইসলামাবাদের লক্ষ্য হল এই অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে আবারও কাশ্মীর ইস্যুকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরা। 
নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসাবে পাঁচটি দেশকে বেছে নিয়েছে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো। মোট ১৮২টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ। পাকিস্তান ছাড়াও নির্বাচিত হয়েছে সোমালিয়া, ডেনমার্ক, গ্রিস এবং পানামা। ২০২৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য থাকবে এই দেশগুলো। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা-সহ অন্যান্য নানা বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে পারবে তারা। টঘঝঈ ১৫ সদস্য নিয়ে গঠিত : পাঁচটি স্থায়ী সদস্য-চীন, ফ্রান্স, রাশিয়ান ফেডারেশন, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-এবং সাধারণ পরিষদ দ্বারা দুই বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত দশটি অস্থায়ী সদস্য। 
বর্তমান অস্থায়ী সদস্য এবং তাদের মেয়াদ শেষের বছরগুলি হল : আলজেরিয়া (২০২৫), ডেনমার্ক (২০২৬), গ্রিস (২০২৬), গায়ানা (২০২৫), পাকিস্তান (২০২৬), পানামা (২০২৬), কোরিয়া প্রজাতন্ত্র (২০২৫), সিয়েরা লিওন (২০২৫), স্লোভেনিয়া (২০২৫), এবং সোমালিয়া (২০২৬)। পাকিস্তানের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত মুনির আকরাম গাজায় মানবিক সঙ্কট মোকাবেলার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি, সীমাহীন মানবিক প্রবেশাধিকার এবং বেসামরিক হতাহতের জন্য জবাবদিহিতার পক্ষে কথা বলেছেন। দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতি ইসলামাবাদের প্রতিশ্র“তি পুনর্নিশ্চিত করার সময়, তিনি কাউন্সিলের মধ্যে বিভক্তিগুলি কাটিয়ে উঠতে অসুবিধার কথা স্বীকার করেছেন, যেখানে ভেটো ক্ষমতা প্রায়শই ঐক্যমতকে বাধা দেয়। 
সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

্রিন্ট

আরও সংবদ