খুলনা | রবিবার | ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১

তাসকিনের ৭ উইকেটের পর বিজয়-বার্লে রাজশাহীর জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৫:৩৩ পি.এম | ০২ জানুয়ারী ২০২৫


দুই ওপেনারের ব্যর্থতার দিনে দলের হাল ধরেন এনামুল হক বিজয়। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন রায়ান বার্ল। দুজনেই করেছেন অপরাজিত ফিফটি। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে দুর্বার রাজশাহী। তাতে দুই ম্যাচ খেলেও জয়হীন থাকলো ঢাকা ক্যাপিটালস।

মিরপুরে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ১ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী।

১৭৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস। এই পাকিস্তানি ওপেনার ৫ বলে এক চার ও এক ছয়ে ১২ রান করেছেন। সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার জিশান আলমও। ৮ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।

৩১ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর দলের হাল ধরেন এনামুল হক বিজয়। ইয়াসির আলি রাব্বিকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক। তবে ২২ রান করে রাব্বি ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর বার্লকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা দারুণভাবে সেরেছেন বিজয়।

দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। বার্ল ৩৩ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আর ৪৬ বলে অপরাজিত ৭৩ রান এসেছে বিজয়ের ব্যাট থেকে।

এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা ক্যাপিটালস অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। অবশ্য ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিটির। দলীয় ১৪ রানেই দুই ওপেনারের বিদায়ে চাপ বাড়ছিল। ৫ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন লিটন। আরেক ওপেনার তানজিদ ১০ বলে ৯ রান করে আউট হন।

শুরুর ধাক্কা ভালোভাবেই সামলেছেন স্টিফেন এসকিনাজি এবং শাহাদাত হোসেন দিপু। দেখেশুনে খেলে দলের রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটার। ফিফটির পথে ছিলেন দুজনই। তবে ২৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়ে গেছেন এসকিনাজি।। দিপু অবশ্য থামলেন ফিফটি ছুঁয়েই। ৪১ বলে ৫০ রান করেছেন তরুণ এই ব্যাটার।

এ ছাড়া ঢাকার আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দুর্বার রাজশাহীর হয়ে রেকর্ডগড়া স্পেলে ৭ উইকেট শিকার করেন তাসকিন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১১ আসরের ইতিহাসে এটাই এখন সেরা স্পেল। পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের ১৭ রানে ৬ উইকেট নেয়ার কীর্তিকে। নিজের দ্বিতীয় ফাইফারের দিনে তাসকিন বদলালেন ইতিহাস। সঙ্গে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীও এখন তাসকিন।

যদিও এই রেকর্ডে তিনি শীর্ষে আছেন যৌথভাবে। এর আগে মালয়েশিয়ার সাজরুল ইদ্রুস চীনের বিপক্ষে ৮ রানের খরচায় নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। ভাইটালিটি ব্লাস্টের ম্যাচে লেস্টারের বোলার কলিন অ্যাকারম্যান বার্মিংহামের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ১৮ রানের খরচায় ৭ উইকেট। এদের পাশে ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে এক টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ৭ উইকেট নেয়ার কীর্তি এখন বাংলাদেশের তাসকিনের। 

্রিন্ট

আরও সংবদ