খুলনা | রবিবার | ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১

সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থী

খবর প্রতিবেদন |
০৬:০৬ পি.এম | ০২ জানুয়ারী ২০২৫


৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপনে বাদ যাওয়া ২২৭ প্রার্থীকে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে যে কেউ এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সিনিয়র সহকারী সচিব মো. উজ্জল হোসেনের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত আছে।

৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন করে আবার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন এ প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়েন ১৬৮ জন। এর আগে এই বিসিএস থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া দুই হাজার ১৬৩ জনের মধ্যে থেকে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্যাডারে ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে ১৫ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন করে নিয়োগ দিয়েছিল। যদিও সবশেষ প্রজ্ঞাপনের পর ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া প্রার্থীর সংখ্যা ২৬৭ জন বলা হয়েছে। যাদের পরীক্ষার সব প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর পিএসসি চূড়ান্ত নিয়োগের সুপারিশ করেছিল।

দ্বিতীয়বারের মতো ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়া প্রার্থীরা গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন। সচিবালয়ের সামনে তারা কর্মসূচি পালন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা ধরণের সমালোচনা চলছে গত কয়েকদিন ধরে।

সবশেষ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ৪৩তম বিসিএসের দ্বিতীয় গেজেট থেকে বাদ পড়া ক্যাডার কর্মকর্তারা ৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদেরকে পুনরায় গেজেটভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বাদ পড়া প্রার্থীরা। পাশাপাশি ১৫ জানুয়ারি সকল ক্যাডারদের সাথে যোগদানের নিশ্চিতেরও দাবি জানানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানোর পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সাময়িকভাবে দুই হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীকে মনোনীত করে ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সুপারিশ করে। বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস, ১৯৮১ (BCS Recruitment Rules, 1981) এর রুল-৪ এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকগণের মাধ্যমে প্রার্থীগণের প্রাক-চরিত্র যাচাই-বাছাই শেষে সুপারিশকৃত দুই হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং এজেন্সি রিপোর্ট বিবেচনায় সাময়িকভাবে ৫৯ জন মিলে মোট ৯৯ জন বাদ দিয়ে অবশিষ্ট দুই হাজার ৬৪ জন প্রার্থীর অনুকূলে ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে ক্লিন ইমেইজের প্রার্থী নির্ধারণে এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে ৪৩তম বিসিএসের সুপারিশকৃত দুই হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর বিষয়ে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআই এবং ডিজিএফআই এর মাধ্যমে প্রাক-চরিত্র পুনরায় অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এনএসআই এবং ডিজিএফআই থেকে দুই হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর উপযুক্ততা/অনুপযুক্ততা বিষয়ে প্রতিবেদন পাওয়া যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২২৭ প্রার্থীর প্রাক-চরিত্র বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া যায়। তাদের বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয় এবং অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনকে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয়। সুপারিশকৃত দুই হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য হতে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জন মিলে মোট ২৬৭ জন বাদ দিয়ে অবশিষ্ট এক হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীর অনুকূলে ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যেকেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে। পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত আছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ