খুলনা | রবিবার | ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২২ পৌষ ১৪৩১

খুলনার দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার, কেএমপির মিডিয়া ব্রিফিং

‘অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নুর আজিম’

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:১১ এ.এম | ০৩ জানুয়ারী ২০২৫


মহানগরীর ত্রাস, সন্ত্রাসীদের গডফাদার নুর আজিম এবং তার সহযোগী শীর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজুল অস্ত্র-গোলাবারুদসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মেলন কক্ষে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। মিডিয়া ব্রিফিং করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি চৌকস আভিযানিক টীম ১ জানুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নগরীর ত্রাস, সন্ত্রাসীদের গডফাদার নুর আজিম (২৮) এবং তার সহযোগী সন্ত্রাসী রিয়াজুল ইসলাম দাদা মিয়াকে (৩৫) গ্রেফতার করে। নুর আজিম বাহিনী প্রধান সন্ত্রাসী নুর আজিম এবং তার সহযোগী শীর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অস্ত্র- গোলাবারুদ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে। তাদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ নগরীর দক্ষিণ টুটপাড়া এবং পূর্ব বানিয়াখামার এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশী একনলা ১২ বোর এর কাটা বন্দুক, ৪ রাউন্ড কার্তুজ এবং ২ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্তে তাদের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় অস্ত্র আইনে পৃথক ২টি মামলা রুজু করা হয়েছে।
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসী গডফাদার নুর আজিম নগরী এলাকায় নিজ নামে সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, হত্যা, দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, টাকার বিনিময়ে কিলিং মিশনসহ অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। শীর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজুলও এলাকায় দখলবাজি, চাঁদাবাজি এবং টাকার বিনিময়ে কিলিং মিশন চালাতো। তাদের গ্রেফতারের ফলে মহানগরীর জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
গ্রেফতারকৃত নুর আজিম মহানগরীতে ত্রাস সৃষ্টিকারী ১২ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর গডফাদার। তার বিরুদ্ধেমহানগরী খুলনসহ জেলা এবং ডিএমপি, ঢাকাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি এবং মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের ১৩টি মামলা রয়েছে। অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৩টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আরো মামলা আছে কিনা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এছাড়া উদ্ধার করা অবৈধ অস্ত্র দ্বারা সা¤প্রতিক সময়ে কোন অপরাধজনক ঘটনা সংঘটিত করেছে কিনা। তাদেরকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতঃ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের উৎস, উদ্ধারকৃত অস্ত্র কোথায় কোথায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হয়েছে, কোথাও ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল কিনা, আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে কারা জড়িত এর মূল রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক জড়িত অন্যান্য সহযোগী সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতারের এবং আরো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ