খুলনা | সোমবার | ০৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৩ পৌষ ১৪৩১

কয়রায় বস্তা ভর্তি ৩০ কেজি হরিণের মাংসসহ যুবক আটক

কয়রা প্রতিনিধি |
১২:১৮ এ.এম | ০৪ জানুয়ারী ২০২৫


গরু ও খাসির মাংসের তুলনায় হরিণের মাংসের দাম কম হওয়ায় সুন্দরবন সংলগ্নসহ আশপাশের এলাকায় এই বন্য প্রাণীর মাংসের চাহিদা বেড়ে গেছে। গহীন সুন্দরবনে অবৈধভাবে হরিণ শিকার করে উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও জেলা শহরে মাংস বিক্রয় করা হয়। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে প্রায় ৩০ কেজি হরিণের মাংস বস্তা ভর্তি করে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কালনা বাজারে সড়কে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে ধরে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে কয়রা থানা-পুলিশের একটি দল হরিণের মাংস বহনকারী ইকবাল মোড়ল (২৩) কে গ্রেফতার করে। সে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিন মোড়লের ছেলে।
কয়রা থানার এসআই রাজেত আলী ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মোটরসাইকেলে বস্তায় ঝুলিয়ে হরিণের মাংস নিয়ে পার্শ্ববর্তী পাইকগাছা উপজেলার দিকে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। রাস্তায় রক্তের দাগ ও তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাঁকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় স্থানীয় লোকজন বস্তা খুলে ভেতরে হরিণের মাংস দেখতে পান। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করে। হরিণের মাংস উদ্ধারের ঘটনায় থানায় বন্যপ্রাণী আইনে একটি মামলা হয়েছে। 
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ইকবাল জানান, কয়রার সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা থেকে মনিরুল ইসলাম নামের এক হরিণ শিকারির কাছ থেকে তিনি এই মাংস ২ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। তিনি এর আগেও হরিণ শিকারি মনিরুলের কাছ থেকে মাংস ক্রয় করেন বলে জানান। মনিরুলের সঙ্গে আগে থেকেই ইকবালের পরিচয় ছিল।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি এম ইমদাদুল হক জানান, ওই মামলায় গ্রেফতার ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তিনি বলেন সকল অপরাধ দমনে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। 
 

্রিন্ট

আরও সংবদ