যশোরের শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমির আব্বাসের বিরুদ্ধে মোছাঃ নুরজাহান বেগম (খুকি) নামে এক নারী বাদী হয়ে তার ছেলেকে গুলি করার অপরাধে মামলা করেছেন। যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী সদর আদালতে দায়েরকৃত মামলায় আরও ৩ জন এস আইকে আসামি করা হয়েছে। আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে যশোর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি রুজু করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ গোলাম কিবরিয়া। 
মামলার বাদী নূরজাহান বেগম কোতোয়ালী থানার আবাদ কচুয়া রহিমপাড়া গ্রামের মৃত আসমত মোল­ার স্ত্রী। মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন গত ২০২৪ সালর ২৯ এপ্রিল রাতে খুলনা-যশোর মহাসড়কের এস কে ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন টাউন ব্রিজের পাশ থেকে আসামিগণ তার ছেলে মোঃ মজনুকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামিগণ আটক মজনুর কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে আসামীগন তার ছেলেক গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। 
অভিযাগে আরোও জানা গেছে বাদী চাঁদার টাকা দিতে না পারায় মামলার ২নং আসামি এস আই সোয়েব ও ৩নং আসামি এস আই শেখ আজগার তার ছেলেকে পিছন দিক দিয়ে হাতকড়া পরায়। এ সময় ২ ও ৩নং আসামি মজনুকে পা ও হাত দিয়ে মাটিতে চেপে ধরে রাখলে ১নং আসামি এস আই জামান ও ৪নং আসামি এস আই বর্তমান শার্শা থানার ওসি আমির আবাস তাদের অস্ত্র দিয়ে মজনুর বাম পায়ের হাটুর উপর ২টি গুলি করে। অতঃপর আসামিরা মজনুকে প্রথম যশোর ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় আসামিরা একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে মজনুকে জেল হাজতে প্রেরণ করে বলে বাদী মামলায় উলে­খ করেছেন। 
এ ব্যাপারে মামলার আসামি বর্তমান শার্শা থানার ওসি আমির আব্বাস বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলাটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি জানান মামলার বিবরণে ঘটনা ২৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ। সে সময় তিনি যশোর ডিবিতে এস আই পদে কর্মরত ছিলেন। আর ঘটনার ৯ দিন আগে ২০/০৪/২৪ তারিখ থেকে ১৪/০৬/২৪ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ২ মাস ধরে তিনি পিটিসি খুলনায় নবায়ন কোর্স ট্রেনিং-এ ছিলেন। যার ডিও নং-১৯১১, তাং ১৫/০৬/২৪। আমির আব্বাস বলেন, তিনি ২০০৬ সাল থেকে সুনামের সাথে তার পুলিশী দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এ মামলার তার বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযাগের সাথে কোনো ভাবেই জড়িত না বলে জানান। তিনি এ ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।