খুলনা | মঙ্গলবার | ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৩ পৌষ ১৪৩১

সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, যেদিন লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া

খবর প্রতিবেদন |
০১:০২ এ.এম | ০৪ জানুয়ারী ২০২৫


উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে ঢাকা ছাড়তে পারেন তিনি।
বিএনপি’র একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, সোমবার অথবা মঙ্গলবার একটি বিশেষায়িত বিমানে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লন্ডনে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার সঙ্গে থাকবেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক, নার্স ও ব্যক্তিগত সহকারীরা।
জানা যায়, এজন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে গত ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার তারিখ সুস্পষ্টভাবে বলতে পারবো না। কারণ, ওনার শরীর মাঝে মধ্যে একটু খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। এখন মনে হয়, নতুন বছরের প্রথম দিকেই যাবেন। 
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, ম্যাডাম বিদেশ যাবেন এটা ঠিক আছে। তবে ৬ জানুয়ারি যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।
বিএনপি’র দলীয় সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাতজন চিকিৎসকসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবে। যার মধ্যে রয়েছেন খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ড. মোঃ এনামুল হক চৌধুরী, তাবিথ আউয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মোঃ শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মোঃ জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মোঃ মাসুদুর রহমান, এস এম পারভেজ, ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়া প্রথমে লন্ডনে যাবেন ছেলে তারেক রহমানের কাছে। সেখানে কয়েক দিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে পূর্ব বাল্টিমোরে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নেয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, গত আগস্টের শুরুতে নবায়ন করা এমআরপি খালেদা জিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়। নভেম্বরে তিনি যুক্তরাজ্যের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। ইতোমধ্যে অন্তত ১৫ জন সফরকারীর তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডন গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। চারটি মামলার পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্র“য়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-সংক্রান্ত মামলায় কারাগারে যান খালেদা জিয়া। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ আ’লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এর পর ছয় মাস পর পর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বহুবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। আ’লীগ সরকার তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। পরে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের তত্ত¡াবধানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পরদিন এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের নানা জটিলতায় ভুগছেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ