খুলনা | মঙ্গলবার | ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৩ পৌষ ১৪৩১

আদানিদের বিরুদ্ধে চলবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা

খবর প্রতিবেদন |
০২:০১ পি.এম | ০৪ জানুয়ারী ২০২৫


ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত ভারতের শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে একই সঙ্গে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলা চলবে আমেরিকায়।

নিউ ইয়র্কের আদালত শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে। এ সংক্রান্ত তিনটি মামলার বিচারের দায়িত্ব পেয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট জজ নিকোলাস জি গারাফিস।

অভিযোগ, বাজারের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির অনুমোদন পেতে অন্ধ্রপ্রদেশসহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তাদের (যার মধ্যে মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন) ঘুষ দিয়েছিল গৌতমের মালিকানাধীন ‘আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড’ (এজিএল)।

ঘুষের অঙ্ক ২৬.৫ কোটি ডলার (২০২৯ কোটি রূপি)। তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমেরিকার ন্যায়বিচার দফতর এবং বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি (সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) যথাক্রমে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে অভিযোগপত্র পেশ করেছিল।

ফৌজদারি অভিযোগগুলির মধ্যে রয়েছে ১৯৭৭ সালে চালু হওয়া আমেরিকার ঘুষ বিরোধী আইন ‘ফরেন কোরাপ্ট প্র্যাক্টিসেস আ্যাক্ট’ (এফসিপিএ) লঙ্ঘনের পাশাপাশি সিকিয়োরিটিজ় (শেয়ার এবং ঋণপত্র) সংক্রান্ত এবং ওয়্যার (টেলিফোনসহ বৈদ্যুতিন যোগাযোগ মাধ্যম) ব্যবহার করে প্রতারণার ষড়যন্ত্র।

দেওয়ানি আইনেও অভিযোগ আনা হয়েছে শেয়ার এবং ঋণপত্রের বাজারের নিয়ম লঙ্ঘন সংক্রান্ত প্রতারণার।

গত ২১ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিসট্রিক্ট কোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘প্রমাণসহ অভিযোগপত্র’ (ইনডিক্টমেন্ট) পেশ করেছিল এসইসি এবং ন্যায়বিচার দফতর।

গৌতম, তার ভাইপো সাগর, সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর বিনীত জৈন এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, ঘুষ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাজারের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বেচার অনুমোতি আদায় করেছিলেন।

ঘুষের কথা গোপন করে আমেরিকা ব্যাঙ্ক এবং আমেরিকার লগ্নিকারীদের থেকে প্রকল্পের জন্য কোটি কোটি টাকা তোলে এজিএল। যা প্রতারণা।

সেই অভিযোগ মেনে নিয়ে এবার আদানিদের বিরুদ্ধে তিনটি দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার একসঙ্গে শুনানির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, আদানিদের এর থেকে ২০ বছর ধরে ২০০ কোটি ডলার (প্রায় ১৬ হাজার ৯০০ কোটি রূপি) মুনাফা করার পরিকল্পনা ছিল।

আদানি গোষ্ঠী সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে। সেই সঙ্গে জানিয়েছে, গৌতম ও সাগরের বিরুদ্ধে সরাসরি ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়নি ইনডিক্টমেন্টে। আনা হয়েছে তথ্য গোপন করে প্রতারণার অভিযোগ।

সাধারণত ঘুষের অভিযোগের তুলনায় ওই অভিযোগের শাস্তি কম। অভিযুক্তদের শুধু জরিমানা করা হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ