খুলনা | মঙ্গলবার | ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৩ পৌষ ১৪৩১

ময়মনসিংহে জামায়াতের সেক্রেটারি গোলাম পরওয়ার

নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্রের পূর্ণ সংস্কার হবে

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৩ এ.এম | ০৫ জানুয়ারী ২০২৫


নির্বাচনের সময় দীর্ঘ হলে নতুন ষড়যন্ত্রের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। 
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল বিভাগ যে পরিমাণ দলীয়করণ আর দুর্নীতিতে ডুবে গেছে, সবটা সংস্কার করা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। রাষ্ট্রের পূর্ণ সংস্কার, একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসলে তার দ্বারাই হবে। তবে আমরা বলেছি, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমপক্ষে রাষ্ট্রের যে সমস্ত বিভাগ সংস্কার করা প্রয়োজন, যেমন নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, সিভিল প্রশাসন, এ রকম নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫/৭টি বিভাগকে সংস্কার করে ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। তারপরে নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা বলেছি ঘোষণা করুন। কারণ দীর্ঘ সময় নেওয়া হলে বিজেপি শাসিত সরকার সেখান থেকে নতুন ষড়যন্ত্র করতে পারে।
শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার আর কে উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মলেনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
গোলাম পরওয়ার বলেন, খুব সংক্ষেপণ যেমন সম্ভব নয়, তেমনি লম্বা সময়েরও প্রয়োজন নেই। মাঝামাঝি ন্যূনতম সংস্কারে যতটুকু সময় প্রয়োজন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অন্তর্বর্তী সরকারকে সে সময় দিতে রাজি আছি। কারণ কোনো সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আবারও ১৪, ১৮ ও ২৪ এর মতো হবে। এটা করে লাভ কী। যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশায় ১৮ বছর পার করলাম, ২ মাস সময় দেরি করেও যদি নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়। আমরা সে নির্বাচনই চাই। ইতোমধ্যে কিছু কিছু লোক পাগল হয়ে গেছে, ওরা চায় কাল ভোট হলেই ভালো হয়। দরকার কি, তুমি তো ১৫ বছর ধৈর্য্য ধরেছো, আরও একটু ধৈর্য্য ধরলে সেই নির্বাচনটা হোক যে নির্বাচনে সবাই খুশি হয়। এতো তাড়াহুড়ার মধ্যে আমরা কোনো সৎ উদ্দেশ্য দেখি না, অসৎ উদ্দেশ্যই দেখা যায়। একটু সবর করেন, ভোট হলে জনগণ যাকে ভোট দিবে, সেই ক্ষমতায় যাবে।    
জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, আজকের এই অস্থিরতা ও অরাজকতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ জাতীয় ঐক্যের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। নিশ্চয়ই আমাদের নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে আমাদের সোনার সন্তানেরা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে ঋণী করে গেছেন। এ রক্তের দায়, রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। বাংলার লক্ষ কোটি মানুষ জুলাই অভ্যুত্থানকে গ্রহণ করেছে, ওই আবু সাঈদ, মুগ্ধের মতো ফ্যাসিবাদের সামনে বুক পেতে দিয়ে ফ্যাসিবাদের পরাজয় বাংলাদেশকে বিজয়ী করেছে, প্রয়োজন হলে আরও লক্ষ আবু সাঈদ মুগ্ধরা আবার রক্ত দিয়ে তোমাদেরকে মোকাবিলা করবে।  
 

্রিন্ট

আরও সংবদ