খুলনা | বুধবার | ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৫ পৌষ ১৪৩১

নগরীতে বাসের হেলপারকে হত্যায় রিকশাচালকের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০৬:১৭ পি.এম | ০৬ জানুয়ারী ২০২৫


নগরীর কেডিএ এভিনিউস্থ জিয়া হল মোড়ে সোহাগ পরিবহনের হেলপার সাব্বির শেখকে মাদক কেনা দিয়ে দ্ব›েদ্ব হত্যার দায়ে রিকশাচালক আসামি হাসান শেখকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। 
সোমবার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শরীফ হোসেন হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। আসামি হাসান শেখ সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা মোল­াবাড়ি এলাকার নুর জামালের ভাড়াটিয়া সাঈদ শেখের ছেলে। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাসান শেখ আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সাব্বির শেখ বাগেরহাট জেলার বাঘরগঞ্জ বাজার এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। 
আদালতের স্টোনোগ্রাফার মোঃ হাদিউজ্জামান হাদি নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০২১ সালের ১০ ফেব্র“য়ারি ঢাকা যাওয়ার জন্য দুপুর দেড়টার দিকে বাগেরহাট থেকে খুলনায় আসেন সাব্বির শেখ। ওইদিন রাতে ড্রাইভার মানিক মোল­ার সঙ্গে ঢাকায় চলে যান তিনি। পরের দিন বিকেলে ওই পরিবহনে করে খুলনায় ফিরে আসেন। রাত ১২টার দিকে খুলনা টাইগার গার্ডেনের সামনে ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি পরিষ্কার করে রাখার জন্য ড্রাইভার সাব্বিরকে গাড়িতে রেখে বাইরে চলে যান। পরেরদিন ড্রাইভারের ওই গাড়ি নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। ড্রাইভার দরজা খুলতে গিয়ে সাব্বির শেখের ক্ষত-বিক্ষত দেহ পরিবহনের ভেতর পড়ে থাকতে দেখে কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এঘটনায় নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার এস আই সুকান্ত দাশ তদন্ত কর্মকর্তা জানতে পারেন, ১১ ফেব্র“য়ারি রাতে গাড়ি পরিষ্কার করে সাব্বির শেখ রিকশাচালক হাসান শেখের কাছে গাঁজা কেনার জন্য অনুরোধ করেন। গাঁজার খবর দিতে না পারায় ১৫০ টাকা চুক্তিতে মদ ক্রয়ের জন্য নগরীর বার্মাশীল মোড়ে যান সাব্বির। সেখান থেকে মদ কিনে হেলপার হাসান শেখের রিকশায় করে টাইগার গার্ডেনের সামনে ফিরে আসেন। রিকশা চালককে মদ খেতে না দিয়ে বোতল নিয়ে সাব্বির গাড়ির ভেতরে চলে যান। রিকশাচালক ভাড়া চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালি করতে থাকেন সাব্বির। পরে রাগ হয়ে রিকশার সিটের নিচ থেকে ধারালো ছুরি বের করে সাব্বিরের গলা ও ডানহাতের কব্জির ওপরে আঘাত করেন। তার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আসামি হাসান শেখ গাড়ির একটি জানালা খুলে পালিয়ে যান। পরে নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১২ ফেব্র“য়ারি সন্ধ্যায় হাসান শেখকে গোবরচাকা এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়ার পর রিকশা চালক হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। একই বছরের ২৫ এপ্রিল হাসানকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার এসআই সুকান্ত দাশ।  

 

্রিন্ট

আরও সংবদ