খুলনা | শুক্রবার | ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৭ পৌষ ১৪৩১

শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন সোহান

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৫:৫৮ পি.এম | ০৯ জানুয়ারী ২০২৫


শেষ ওভারে দরকার ২৬ রান। কাইল মায়ার্সের প্রথম দুই বলে ছক্কা চার হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন নুরুল হাসান সোহান। তৃতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে আরেকটি চার মারেন এই উইকেটরক্ষক। পরের বলে এই একই প্রান্তে মারেন আরেকটি ছক্কা। শেষ দুই বলে আবারও চার ছক্কা মেরে রংপুরের জয় নিশ্চিত করে সোহান। টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচ খেলে অপরাজিতই রইল রংপুর।

সিলেটে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ৮১ রানের জুটি, এরপর কাইল মেয়ার্সের বিধ্বংসী ইনিংস এবং ফাহিম আশরাফের ছোটো ক্যামিওতে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। জবাবে ইফতিখার আহমেদের ৩৬ বলে ৪৮ এবং খুশদিল শাহের ২৪ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে এবং সোহানের সাত বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংসে তিন উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় রংপুর।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। ফর্মে থাকা অ্যালেক্স হেলস আজ সুবিধা করতে পারেননি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। তানভির ইসলামের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হওয়ার আগে ৩ বলে করেছেন ১ রান।

শুরুর সেই ধাক্কা সামাল দিয়েছেন তৌফিক খান তুষার ও সাইফ হাসান। ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি সাইফ। ১৯ বলে ২২ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। আর তুষারের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ বলে ৩৮ রান।

৬৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন খুশদিল শাহ ও ইফতিখার আহমেদ। ৩৬ বলে ৪৮ রান করে ইফতিখার সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৯১ রানের জুটি। আর খুশদিলের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ৪৮ রান।

শেষদিকে ক্যামিওতে ঝলক দেখিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। প্রায় অসম্ভবকেই যেন সম্ভব করলেন তিনি। শেষ ওভারে যখন ২৬ রান দরকার তখন মেয়ার্সের করা ওভারের ৬ বলের সবকটিতেই বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন রংপুর অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত ৭ বলে অপরাজিত ৩২ রান করে দলের নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে সাবধানী সূচনা করেন তামিম। শেখ মেহেদীর প্রথম ওভার মেইডেন দেন তিনি। তার সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত কিছুটা আগ্রাসী ছিলেন। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লে'তে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে'তে বিনা উইকেটে ৪৬ রান করে বরিশাল।

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারেই জুটির পঞ্চাশ পূরণ করেন তামিম-শান্ত। ৮১ রানে ভাঙে বরিশালের ওপেনিং জুটি। ১১তম ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বি প্রথমবার আক্রমণে এসে শান্ত এবং তামিমকে বিদায় করেন।তার চতুর্থ স্টাম্প তাক করা তার প্রথম বলে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন শান্ত। এক্সট্রা কভারে খুশদিল শাহকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩০ বলে ৪১ রান করেন তিনি।

এরপর উইকেটে এসেই প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান কাইল মেয়ার্স। সেই ওভারের শেষ বলে মিড অফে অ্যালেক্স হেলসকে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তামিম। চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪০ রান আসে তামিমের ব্যাটে। এই বলের আগের দুটি বলেও প্রায় ক্যাচ তুলে দিচ্ছিলেন তামিম। পরের দুই ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাহিদ রানা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বোলিং করলেও ১৬তম ওভারে ২২ রান দেন রাব্বি। এরপরের ওভারে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন আকিফ জাভেদ।

তার লেংথ ডেলিভারিতে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়। ১৮ বলে ২৩ রান করেন তিনি। দ্রুত রান তোলার মিশনে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ১৮তম ওভারে সাইফউদ্দিনের স্লোয়ারে পুল করতে গিয়ে ডিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। শেষদিকে ফাহিম আশরাফের ছয় বলে দুই ছক্কা ও একটি চারে ২০ রানের ইনিংসে ১৮০ রানের গণ্ডি পার হয় বরিশাল। একটি চার ও সাতটি ছক্কার ইনিংসে শেষ ওভারে ২৭তম বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন মেয়ার্স।

্রিন্ট

আরও সংবদ