খুলনা | বুধবার | ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৩ মাঘ ১৪৩১

দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তারেক রহমান

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আশাব্যঞ্জক উন্নতি

খবর প্রতিবেদন |
০১:০৪ এ.এম | ১৩ জানুয়ারী ২০২৫


লন্ডনে দ্য ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে খাবার নিয়ে প্রতিদিনের মতো আজও হাসপাতালে এসেছেন ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডাঃ জুবায়দা রহমান।
রোববার স্থানীয় সময় দুপুরে তারা বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে হাসপাতালে আসেন। এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, ‘সবাই সবার জন্য দোয়া করি।’
ইউরোপে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক কামাল উদ্দিন ও যুক্তিরাজ্য বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদকেও তাদের সঙ্গে দেখা যায়।
পুরোপুরি চিকিৎসা এখনো শুরু না হলেও লন্ডনে হাসপাতালে ভর্তির পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আশাব্যঞ্জক উন্নতি হয়েছে। চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেনকে উদ্ধৃত করে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বিশেষায়িত হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। এ হাসপাতালেই অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত¡াবধানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। অধ্যাপক প্যাট্রিক একজন লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ।
ডাঃ এজেডএম জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়াকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। নেফ্রোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট ও ইনটেনসিভিস্ট চিকিৎসকরা ওনাকে দেখেছেন। তারেক রহমান, ডাঃ জোবাইদা রহমান, মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামায়লা রহমান, খালেদা জিয়ার তিন নাতনি হাসপাতালে সবসময় ওনার দেখভাল করছেন। পারিবারিক আবহে থাকায় মানসিকভাবে ভালো থাকার একটা আবহ সৃষ্টি হয়েছে। মানসিকভাবে উনি দেশের থাকার সময়ের চেয়ে এখন অনেকটা ভালো আছেন, উৎফুল­ আছেন এটুকু বলতে পারি।
তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার থেকে ওনার চিকিৎসায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল আছে। এভাবে আরও কয়েকদিন চিকিৎসা চলার পর ওনার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আরও সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাবে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া। রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে কাতার আমিরের পাঠানো এয়ার এ্যাম্বুলেন্সটি। বুধবার (৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পরে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করানো হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। এখন সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
এর আগে শনিবার রাতে খালেদা জিয়াকে দেখতে আসেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস। তখন খালেদা জিয়া তাদের কাছে দেশবাসীর খোঁজ-খবর জানতে চেয়েছেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের দেখা হওয়ার পর আমরা খালেদা জিয়াকে সালাম দিয়েছি। স্বাস্থ্যের কথা জিজ্ঞেস করেছি। খালেদা জিয়া আমাদেরকে জিজ্ঞেস করেছেন দেশের মানুষ কেমন আছে? দেশের বর্তমান অবস্থা কী? তো দেশ থেকে আমরা মাত্র দুই দিন আগে এসেছি। এখন কোনো পরিবর্তন হয়নি। দেশে একটি নির্বাচনী কথা বার্তা চলছে। এমনই উনাকে আমি জানিয়েছি। তাছাড়া আমরা উনাকে রাজনৈতিক কথাবার্তা বলে উনাকে বিব্রত করতে চাইনি।’
আফরোজ আব্বাস বলেন, তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন নাতী-নাতনীরা কেমন আছে? দেশের বর্তমান অবস্থা কী? মহিলা দলের সবাই কেমন আছেন? দেশর মানুষ কেমন আছেন, এ সবই তিনি জিজ্ঞেস করেছেন। আমরা আশা করছি তিনি অচিরেই সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন।
প্রসঙ্গত, ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। ওই দিনই লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে লন্ডনের বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এই হাসপাতালে তিনি অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসাধীন।

্রিন্ট

আরও সংবদ