খুলনা | বুধবার | ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

বাড়তি করের বোঝায় গরিবরা ক্রয় ক্ষমতা হারাচ্ছে

|
১২:০৬ এ.এম | ১৪ জানুয়ারী ২০২৫


কয়েক বছর ধরেই দেশে বিনিয়োগকারীদের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তারল্য সংকট, ডলার সংকট, গ্যাস সংকট, ঋণের উচ্চ সুদের হারসহ বিভিন্ন সংকট দেশের অর্থনীতিতে নানা মাত্রায় প্রভাব ফেলছে। এসব নিয়ে উদ্যোক্তারা চিন্তিত। দেশে চাহিদা অনুযায়ী যখন গ্যাস মিলছে না, তখন শিল্পকারখানায় নতুন সংযোগে দাম দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞ এবং ব্যবসায়ীরা মনে করেন, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে শিল্প খাতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। বস্তুত বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে, যা বহুল আলোচিত। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চাপে ভ্যাট হার বৃদ্ধি এবং গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআিই)। শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিসিসিআই। সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতাসহ উচ্চ সুদহার বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। ডিসিসিআই সভাপতি আরও বলেছেন, বর্তমান চ্যালেঞ্জের মধ্যে শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধিসহ শিল্পে গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর উদ্যোগ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
স¤প্রতি সরকার রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর জন্য দু’টি অধ্যাদেশ জারি করেছে। ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসায়ের খরচ বাড়বে। যা সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক সমিতির (বিজিএমইএ) শীর্ষ নেতারা স¤প্রতি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলে শিল্প খাতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। পুরো গার্মেন্ট ও সুতা সেক্টর পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে চলে যাবে। এতে বেকার হয়ে পড়বে লাখ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী। গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে শিল্পের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়বে। এ অবস্থায় ভোক্তারা বিদেশি পণ্য ক্রয়ে ঝুঁকতে পারে। আমাদের ধারণা, পণ্যের দাম আরও বৃদ্ধি পেলে গরিবরা ক্রয়ক্ষমতা হারাতে পারেন। অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্যবসার ব্যয় বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হতে পারেন। এদিকেও কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দিতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীল করতে হলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ অবশ্যই বাড়াতে হবে। দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে যা যা করণীয় কর্তৃপক্ষ সবই করবে, এটাই প্রত্যাশা।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ