সরকার কর্তৃক অযৈক্তিক ভাবে শত পণ্যের উপর আরোপিত বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন যশোর চেম্বার অব কমার্স নেতৃবৃন্দ। তারা আইএমএফের প্রেসক্রিপশন না মেনে কর আদায়ের পরিধি বাড়িয়ে রাজস্ব সমন্বয়ের দাবি করেছেন। সোমবার দুপুরে সংগঠনের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।  
সংবাদ সম্মেলনে চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, পতিত আ’লীগ সরকার গোষ্ঠীতন্ত্রের স্বার্থরক্ষায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলো। এ বাজেট কার্যকরের এক মাসের মাথায় ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার সরকার। ক্ষমতা নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। অভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণকারী এ সরকার গণমানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ করবে বলে প্রত্যাশা ছিল সবার। যদিও এরই মধ্যে সে প্রত্যাশায় ছেদ ঘটেছে। বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই নতুন করে গত ৯ জানুয়ারি প্রায় একশ’ পণ্য ও সেবার ওপর মূলা সংযোজন কর (ভ্যাট), সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যা ইতিমধ্যে কার্যকর করেছে সরকার। 
যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা হচ্ছে তার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের ব্যয় বাড়বে। সেই সাথে কেনাবেচায় প্রভাব পড়বে। যার দরুণ ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে এমন কাজ করলে জন আকাক্সক্ষা বিরোধী হবে। এজন্য ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। সংকট সমাধানে কর আদায়ের পরিধি বাড়িয়ে রাজস্ব সমন্বয়ের উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে চেম্বারের সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম সোহান, সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এজাজ উদ্দিন টিপু সৈয়দ শাহজাহান আলী খোকন, সাজ্জাদুর রহমান সুজা, আব্দুল হামিদ চাকলাদার ঈদুলসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।