খুলনা | মঙ্গলবার | ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১

অসদাচারণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

পাইকগাছার কপিলমুনি ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:২৭ এ.এম | ১৪ জানুয়ারী ২০২৫


ইউপি সদস্য ও সেবা গ্রহিতাদের সাথে অসদাচারণ এবং পরিষদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন সদস্য। এ সকল বিষয় নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী অনতি বিলম্বে সচিবের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও পরবর্তীতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে কর্মরত রয়েছেন মোঃ আব্দুল গনি গাজী। দীর্ঘ ৮ বছরেরও অধিক সময় ধরে পরিষদে কর্মরত থাকায় তিনি ক্ষমতার একটি নিজস্ব বলয় তৈরি করে নিয়েছেন। সবসময় সব কিছুতেই তিনি একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি প্রায়শই পরিষদের ইউপি সদস্যদের সাথে অসদাচরণ করেন। এমনকি নাগরিক সেবা গ্রহিতাদের সাথে তার ঝগড়া বিবাদ করতেও দেখা গেছে। এর ফলে সাধারণ নাগরিক প্রশাসনিক কর্মকর্তার ব্যবহারে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে ইউপি সদস্যদের কাছে নানাবিধ অভিযোগ করেন। সা¤প্রতিক সময়ে টিসিবি স্মার্ট কার্ড বিতরণকালে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে স্থানীয় জনগণের সাথে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল গণির হাতাহাতির মত ঘটনা ঘটে। গ্রাম পুলিশ ও দফাদার ইউনিয়ন পরিষদের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও তাদের সাথেও প্রশাসনিক কর্মকর্তা অসৌজন্যমূলক আচারণ করে থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে আয়ের অর্থ আত্মসাৎ করেন। এমনকি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগসাজশে অবাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ যৌথভাবে আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগে উলে­খ করা হয়েছে। সে করানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল গণি গাজীর হাত থেকে মুক্তি এবং এলাকার জনগণ যাতে নাগরিক সেবাগুলো সঠিকভাবে পেতে পারে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ আলী, ইউপি সদস্য শেখ রবিউল ইসলাম, মোঃ আজিজার রহমান, রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, মোঃ আলাউদ্দীন গাজী, এ এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, রাজিয়া সুলতানা, মোঃ বদরুল আলম, কাকুলি বিশ্বাস ও ছখিনা বেগম জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গনি গাজীর ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করলে সেটি বন্ধ থাকায় তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী অনতি বিলম্বে উক্ত কর্মকর্তার বদলিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।    

্রিন্ট

আরও সংবদ