খুলনা | বুধবার | ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৩ মাঘ ১৪৩১

প্রশাসন ভেঙে দেয়ার ৩ দিনের মাথায় ডুমুরিয়ার বাহার ব্রিকস্ আবার চালু

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি |
১২:২০ এ.এম | ২২ জানুয়ারী ২০২৫


ডুমুরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বাহার ব্রিকস্ নামক লাইসেন্স বিহীন একটি ইটভাটা ভাঙচুর ও বন্ধের তিন দিনের মাথায় আবার চালু হয়েছে। গত ৬ জানুয়ারি খুলনা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই ইটভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির বলে পুনরায় সকল কার্যক্রম চালু করেছে ভাটা কর্তৃপক্ষ। 
জানা যায় ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নে কুলবাড়িয়া এলাকায় ভদ্রা নদীর তীরে গড়ে তোলা এবং সরকারি মাটি ও নদীর জায়গা ব্যবহারসহ নানা অভিযোগে বাহার ব্রিকসের লাইসেন্স বাতিল করে জেলা প্রশাসন। এর প্রেক্ষিতে গত ৬ জানুয়ারি জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালায় বাহার ব্রিকসে। স্কেভেটর মেশিন দিয়ে ইটখোলা ভেঙে এবং জ্বলন্ত ইট দমকল বাহিনীর মাধ্যমে পানি দিয়ে নিভিয়ে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম ও ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুর রহমান। 
এদিকে অভিযানের তিন দিনের মাথায় অদৃশ্য শক্তির বলে লাইসেন্স বিহীন সেই বাহার ব্রিকসের সব ধরনের কার্যক্রম শুরু করেছে ভাটা কর্তৃপক্ষ। ভেঙে দেয়া বাহার ব্রিকসের ইটখোলা পুনরায় নির্মাণ করা হচ্ছে এবং চালানো হচ্ছে ইট পোড়ানো সব ধরনের কার্যক্রম। এ বিষয়ে বাহার ব্রিকসের মালিক আব্দুল হাই বাহার বলেন, প্রশাসনের ইঙ্গিত না পেয়ে কাজ শুরু করেনি! ইচ্ছা করলে আমি ওই রাতেই ভাটা চালু করতে পারতাম। অভিযান চালিয়ে আমার ২০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। তবে ২০ লাখের জায়গায় আমাকে পাঁচগুণ টাকা দিতে হবে প্রশাসনকে। সময় হলে ঠিকই আমি উসুল করে নিবো। 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, জেলা প্রশাসক কর্তৃক বাহার ব্রিকসের লাইসেন্স বাতিলের প্রেক্ষিতে ৬ জানুয়ারি জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে ভাটার ইটখোলা ভাঙচুরসহ পানি দিয়ে নিভিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে ইটভাটাটি পুনরায় চালু করেছে শুনেছি এবং বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান আছে।       
 

্রিন্ট

আরও সংবদ