খুলনা | বৃহস্পতিবার | ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৭ মাঘ ১৪৩১

নওয়াপাড়ায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব

দেশে কোন সারের সংকট নেই পরিমিত ভাবে ব্যবহার করতে হবে

অভয়নগর প্রতিনিধি |
১২:২৮ এ.এম | ৩০ জানুয়ারী ২০২৫


কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব খোরশেদ আলম বলেছেন দেশে কোন সারের সংকট নেই তবে পরিমিত ভাবে সার ব্যবহার করতে হবে। তিনি বলেন, নওয়াপাড়ায় একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে প্যাকিং-লোড ও সরবরাহ করায় কৃষকদের কাছে দ্রুত সার পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। এদের কাযক্রম দেখে অন্য আমদানিকারকদের একই পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে সারের কোন সংকট নেই। পযাপ্ত সার আছে। আমাদের কৃষকেরা সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিমিত ভাবে করবে। এ সারে মধ্যে ২০ শতাংশ নাইট্রোজেন থাকে। না জানার ফলে কৃষকেরা ভুল করে। বুধবার সারের ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ সরেজমিন দেখতে নওয়াপাড়ায় আসেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব খোরশেদ আলম।
জানা গেছে চলতি ইরি বোরো মৌসুমে কৃষকদের নন ইউরিয়া সার নির্বিঘœ করতে ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। তার মধ্যে নোয়াপাড়া গ্র“প অন্যতম। এ প্রতিষ্ঠান অত্যাধুনিক মেশিনের মাধ্যমে সার জাহাজ থেকে খালাস ও প্যাকিং করে ট্রাক যোগে লোড দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৬শ’ ট্রাকে করে বি সি আই সি ডিলাররা সার উত্তোলন করে স্ব-স্ব এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে। সার উত্তোলনের ক্ষেত্রে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল প্রকার কাগজ পত্র যাচাই করে আমদানি কারক প্রতিষ্ঠানটি কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তারা প্রতিদিন ১৬ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছে। বেসরকারিভাবে নন ইউরিয়া সার ৪০ থেকে ৫০ ভাগ যশোরের বানিজ্যিক শহর নওয়াপাড়ায় আমদানি করা হয়ে থাকে। এখান থেকে ডিলারের মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকার প্রান্তিক চাষিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় এ সার। বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সার উত্তোলন করতে আসা বিসিআইসি ডিলারদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন। তিনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিলারদের কাগজপত্র অসঙ্গতি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে তিনি নওয়াপাড়া গ্র“পের সার সরবরাহ পদ্ধতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন  অভয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) ফারুক হোসেন ও কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন। 

্রিন্ট

আরও সংবদ