খুলনা | সোমবার | ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২১ মাঘ ১৪৩১

জামিন পেয়ে বেপরোয়া বিএনপি নেতার ভাই আজাদ, ফের তার বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:০৭ এ.এম | ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শাহাদাৎ হোসেন ডাবলুর ভাই আজাদ হোসেন ঘেরের বাসায় অগ্নিসংযোগ, মাছ চুরি, ও সন্ত্রাসী হামলা মামলা থেকে জামিনে বেরিয়ে আসার পর আরও বেপরোয়া হয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, ঘের দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। এ ধরনের ঘটনায় গত শুক্রবার তার বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় সাধারন ডায়েরি করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতার ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম সানা। জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলার কাজিমুছা গ্রামের মৃত আনোয়ার সানার ছেলে শরিফুল ইসলাম সানা নিজ ঘেরে কাজ করার সময় বিবাদী আজাদ হোসেন, শেখ রাসেল ও রাতুলকে সঙ্গে নিয়ে ৩০ জানুয়ারি তার কাজে বাধা প্রদান করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জীবননাশের হুমকি প্রদান করে। বাদী চিনামুলা মৌজায় ২৯ বিঘা সম্পত্তিতে মাছ চাষ করে আসছেন দাবি করে অভিযোগ পত্রে পূর্ব থেকে বিরোধ ও এই সম্পত্তিতে দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে বলে উলে­খ করেন। 
এদিকে নাছিরপুর জলমহলে মাছ চুরি, মারপিট ও বাসা বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় স¤প্রতি জেলা হাজতে যায় আজাদ। বিষয়টি উপজেলার সর্বত্রই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয় এবং এলাকায় শুরু হয়  আলোচনা সমালোচনার ঝড়।  
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের শেখ জাহাঙ্গীর হোসেনের পুত্র শেখ এনামুল হোসেন নাছিরপুর জলমহলটি সরকারের নিকট থেকে ইজারা গ্রহণ পূর্বক উক্ত মৎস্য ঘেরটি পরিচালনা করেন। উক্ত জলমহল নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবহিকতায় বিগত ২০২৪ সালের ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে কপিলমুনি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য শাহাদাৎ হোসেন ডাবলুর ভাই আজাদ মোড়লের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল জলমহলটি দখল করার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ঘেরে প্রবেশ করে মাছ মারতে থাকে। এ সময় ঘের কর্মচারী হোসেন মলি­ক বাধা প্রদান করলে তাকে মারপিট করে মারাত্মক আহত করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন মারাত্মক আহত অবস্থায় হোসেন মলি­ককে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তিতে একই বছর ২১ অক্টোবর ভোরের দিকে পুনরায় জলমহলের বাসায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় শেখ নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে কাশিমনগর গ্রামের মৃত তোফাজ্জেল মোড়লের ছেলে ও কপিলমুনি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলুর ভাই আজাদ মোড়ল, মৃত ইউনুচ গাজীর ছেলে আবুল হোসেন ও আজর গাজীর ছেলে রাসেল গাজীসহ ২৫ জনের নাম উলে­খ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনের নামে পাইকগাছার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি পাইকগাছা থানাকে এজাহারের জন্য আদেশ প্রদান করলে ২২ অক্টোবর থানা মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন। উক্ত মামলায় আজাদ মোড়ল ও তাদের অন্যতম সহযোগী আবুল হোসেন  জামিন প্রার্থনা করলে পাইকগাছার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক দীর্ঘ শুনানিন্তে তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলা হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। 
উলে­খ্য আজাদের আলিশান বাড়ি থেকে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ এ সংক্রান্ত মামলা ও সীমানা পিলার পাচার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।  

্রিন্ট

আরও সংবদ