খুলনা | সোমবার | ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২১ মাঘ ১৪৩১

স্কুলছাত্রীকে ‘হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা’, লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৪ পি.এম | ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


ঢাকার হাতিরঝিল থেকে এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় দুই যুবককে তারা গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার দুই যুবক জানিয়েছেন, হাত-পা বেঁধে পাঁচজন মিলে ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে হত্যা করেন তারা।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে দক্ষিণখানের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। মা-বাবার কাছে কেনাকাটার কথা বলে বাইরে বেরিয়েছিল সে।

জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়। ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ তারিখে একটি মামলা করেন। মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে ৩০ জানুয়ারি রবিন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাব্বি মৃধা নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। এরপর রবিন ও রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার দুই যুবক পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, পাঁচজন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে তার মৃত্যু হলে মরদেহ হাতিরঝিলে ফেলে দেওয়া হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই রবিবার ওই কিশোরীর মরদেহ হাতিরঝিল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মেয়েটিকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন রবিন ও রাব্বি মৃধা। সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণখান জোন)  মো. নাসিম এ-গুলশান বলেন, “ফেসবুকের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে রবিনের পরিচয় হয়। পরে তাকে মহাখালীর একটা বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়।”

হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর তিনজনকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, কিশোরীটিকে হত্যা করার পর মরদেহ বস্তাবন্দী করা হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দিন মধ্যরাতেই মহাখালী থেকে রিকশায় করে মরদেহ হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজার সামনের সেতুতে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। মরদেহটি সেতু থেকে হাতিরঝিলে ফেলে দেন রবিন। এরপর যে যার বাসায় চলে যান।

সহকারী কমিশনার (দক্ষিণখান জোন) মো. নাসিম এ-গুলশান জানান, আসামিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিন পেশায় একজন গাড়িচালক। রাব্বি মৃধারও নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। অভিযুক্ত অন্য তিনজনও রবিনের পূর্বপরিচিত।

্রিন্ট

আরও সংবদ