খুলনা | সোমবার | ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২১ মাঘ ১৪৩১

‘শ্বেতাঙ্গ নির্যাতন’ বিতর্ক উস্কে দিলেন ট্রাম্প!

খবর প্রতিবেদন |
০২:০১ পি.এম | ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় দফায়ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিশানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ‘এক শ্রেণির মানুষের’ সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘ভীষণ বাজে’ ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প।

ওই ঘটনার তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে সবরকম সাহায্য দেওয়া বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের প্রথম জমানা থেকেই এই বিতর্কের সূত্রপাত।

তখন দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রচুর শ্বেতাঙ্গ কৃষককে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। তাদের জমি জবরদখলেরও অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সেগুলির সত্যতা প্রমাণিত হয়নি।

ট্রাম্প সেই সময় অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া ওই দাবিগুলির তদন্তের কথা বলেছিলেন। এবার দ্বিতীয়বার আমেরিকার ক্ষমতায় এসেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তিনি। যদিও সরাসরি শ্বেতাঙ্গ-নির্যাতনের অভিযোগ তোলেননি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা নির্দিষ্ট এক শ্রেণির(শ্বেতাঙ্গ) লোকদের সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করছে এবং জমি দখল করে নিচ্ছে।

তিনি আরও লেখেন, যদি খুব কম করেও বলা হয়, তা হলে উল্লেখ করতে হবে একটি ব্যাপক আকারে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। সবার চোখের সামনেই তা ঘটছে। আমেরিকা এটিকে সমর্থন করে না।

আমরা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব। এর পরেই তিনি জানান, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে সবরকম আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেবে আমেরিকা।

বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় আর্থিক সাহায্য পাঠায় আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৪ কোটি ডলার আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছে আমেরিকা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা গত মাসেই জানিয়েছিলেন, তাদের দেশের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে তিনি একেবারেই ভাবেন না। পরে জানুয়ারির শেষের দিকে আবার তিনি জানান, আমেরিকার ভোটের পরে ট্রাম্পের সঙ্গে তার কথা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা রেখে কাজ করার বিষয়ে নিজের আগ্রহের কথাও জানান রামাফোসা। এবার ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর তিনি কী পদক্ষেপ নেন, তা নিয়ে কৌতূহল দানা বেঁধেছে কূটনৈতিক স্তরে।

বস্তুত, ইসরায়েল ও মিশর ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএইড) সাহায্য ৯০ দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।

্রিন্ট

আরও সংবদ