খুলনা | সোমবার | ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২১ মাঘ ১৪৩১

অনলাইনে পরিচয়, স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার পর লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে

খবর প্রতিবেদন |
০৫:৩২ পি.এম | ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


রাজধানীর হাতিরঝিল লেক থেকে এক স্কুলছাত্রীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ। ওই স্কুলছাত্রীকে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে বস্তায় ভরে লাশ গুমের জন্য হাতিরঝিলে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা যুবকরা হলেন- রবিন ও রাব্বি মৃধা। রবিন পেশায় একজন গাড়িচালক। রাব্বির নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান।

গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই কিশোরীকে অনলাইনে পরিচয়ের সূত্র ধরে মহাখালীর একটি ফ্ল্যাটে ডেকে আনা হয়। এরপর রবিনসহ পাঁচজন মিলে কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা করেন।

রবিবার ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে দক্ষিণখানের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। ঘটনার দিন মা-বাবাকে কেনাকাটার কথা বলে বাইরে বেরিয়েছিল সে।

ডিসি রওনক জাহান বলেন, “নিহত কিশোরী গত ১৬ জানুয়ারি কেনাকাটা করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ জানুয়ারি একটি মামলা করেন নিহতের বাবা।

মামলার তদন্তে নেমে কিশোরীর মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে ৩০ জানুয়ারি রবিন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাব্বি মৃধা নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। এরপর রবিন ও রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত ডিসি জানান, দুই যুবক পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, পাঁচজন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে তার মৃত্যু হলে মরদেহ হাতিরঝিলে ফেলে দেওয়া হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই রবিবার ওই কিশোরীর মরদেহ হাতিরঝিল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মেয়েটিকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন রবিন ও রাব্বি মৃধা। তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

্রিন্ট

আরও সংবদ