খুলনা | সোমবার | ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

শেকৃবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাময়িক বরখাস্ত

খবর প্রতিবেদন |
০৪:৪০ পি.এম | ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম সারোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাকে বরখাস্ত করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে সই করেন রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চাকুরির শৃঙ্খলাপরিপন্থি আচরণ অর্থাৎ শেকৃবি’র জন্য প্রযোজ্য চাকুরি বিধি-সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ২(খ) উপ-বিধিতে বর্ণিত ‘অসদাচরণ’ এর দায়ে উক্ত বিধিমালা’র ১২(১) উপ-বিধি মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি হতে ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম সারোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং প্রচলিত বিধি মোতাবেক ‘খোরাকী ভাতা’ প্রাপ্য হবেন। এ আদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলার স্বার্থে জারি করা হলো এবং ইহা অদ্য হতে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, রাজধানীতে আওয়ামী লীগের প্রচারপত্র বিতরণের অভিযোগে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মুকিব মিয়াকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমানের বাসা থেকে আটক ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমানসহ আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবিতে ক্যাম্পাসে পৃথক মিছিল করেছে শাখা ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

মিছিল শেষে শেকৃবি ছাত্রদল সভাপতি তাপস কবির বলেন, ক্যাম্পাসে অবস্থান করা আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তারা এখনও বুক ফুলিয়ে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে আসা অন্য আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে শেকৃবির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাসা। আমরা দ্রুত এসব শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচার ও প্রত্যাহার চাই।

অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিছিলের পর প্রশাসনের কাছে তিনটি দাবি পেশ করে। দাবিগুলো হলো– আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাসা বাতিল ও প্রত্যাহার, জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের ক্লাস ও পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রারকাণ্ডে তিন দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ।

মিছিল শেষে শেকৃবি সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কৃষি ও পরিবেশ সেলের সম্পাদক তৌহিদ আহমেদ আশিক বলেন, তদন্তের নামে বর্তমান প্রশাসন প্রহসন করছে। ছয়-সাত মাস পার হলেও ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও সমর্থনকারীদের এখনও বিচার শেষ করতে পারেনি তারা। ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের পদচারণায় আমরা নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছি। প্রশাসনকে আগামী তিন দিনের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের বিচার ও প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগপন্থি সবার বাসার বরাদ্দ বাতিল করতে হবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা দ্রুত সময়ে বিচারকাজ শেষ করব। আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত, সিন্ডিকেট মিটিংয়ের অপেক্ষায় আছি।

্রিন্ট

আরও সংবদ